বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে ভোটের মাঠে আসার দরকার নেই এবং আসলে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারতে হবে- জনসভায় এমন হুমকি দিয়েছেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম।
সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী আমির হোসেনের নির্বাচনী জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এই হুমকি দেন। অথচ মনিরুল ইসলাম নিজেই ২০১৯ সালে উপজেলা নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আলী রায়হানকে হারিয়ে নির্বাচিত হন।
এমন বক্তব্যের একটি অডিও ক্লিপ সহ যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন আনারস মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল বারিক। তিনি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য।
অডিও ক্লিপটা এসেছে ইনকিলাবের হাতেও। সেখানে মনিরুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, লাউজানী, শ্রীরামপুরের মানুষ ২০১৯ সালে ডাঃ নাসির উদ্দিন বিজয়ী হওয়ার পরে থেকে শান্তিতে রয়েছে। কিন্তু নৌকার প্রার্থী জিততে না পারলে নৌকার কর্মীরা আবেগের বশে জামাত-বিএনপি'র যারা তাদের আগের মতো শান্তি থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে ভোটের মাঠে আসার দরকার নেই এবং আসলে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারতে হবে।
এ প্রসঙ্গে নৌকার প্রার্থী আমির হোসেন বলেছেন, নেতারা কি বলেছেন সেটা তিনি ভালো জানেন।
তবে সেই নির্বাচনী সমাবেশের কথা স্বীকার করেছেন আমির হোসেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি এ ধরণের কোন বক্তব্য দেইনি। এ সম্পর্কে আমি জানি কিছু জানি না।
২০১৯ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সে নির্বাচনে দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীতার বিরুদ্ধে কোন নির্দেশনা না থাকায় প্রার্থী হয়েছিলাম।
অভিযোগে বারিক হোসেন উল্লেখ করেছেন গত ৫ নভেম্বর বিকালে সদর ইউনিয়নের লাউজানি স্কুলমাঠে নির্বাচনী জনসভায় বক্তারা প্রকাশ্যে ঘোষনা দেন কেও নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে তাদের ভোটের মাঠে আসার প্রয়োজন নেই। আর যদি কেও আসে তাহলে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। এছাড়া বক্তব্যে নানাবিধ ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। নিজের এবং কর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন।
এ অনুলিপি আরও দেয়া হয়েছে যশোর পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন অফিসার, ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা নির্বাচন অফিসার, রিটার্নিং অফিসার এবং থানার ওসি বরাবর।
স্বতন্ত্র প্রার্থী বারিক হোসেন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম জনসভায় ঐ বক্তব্য দেওয়ায় তার কর্মীরা ভয়ে আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।