পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সমবায় ব্যবস্থাপনাকে মর্যাদার আসনে নিতে হলে দেশের সব সমবায় সমিতির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু আনন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমবায় অধিদপ্তর আয়োজিত ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২১ এবং জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন আমার গ্রাম আমার শহর বাস্তবায়ন করে গ্রামীণ জনপদের ব্যাপক পরিবর্তন আনা সম্ভব। সমবায় ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী এবং কার্যকর করতে হলে এর দুর্বলতা ও অসামঞ্জস্যতা খুঁজে বের করতে হবে। আইনে যদি সংশোধনী আনার প্রয়োজন হয় সেটাও করতে হবে। সমবায় ব্যবস্থাপনার সুফল কাজে লাগিয়ে পুরো দেশের পরিবর্তন আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, শুধু সমবায় ব্যবস্থাপনা নয়, সব প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তি পর্যায়েও মানুষের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকা উচিত। কারণ এটা করা হলে কাজের পরিধি ও মান বাড়বে। আপনি কোনো কাজের জন্য কাউকে ছেড়ে দেবেন, জবাবদিহিতার আওতায় আনবেন না, তাহলে লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর দেশ গঠনের লক্ষ্যে অনেক উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম একটি সমবায় ব্যবস্থাপনা। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন গ্রাম-গঞ্জে বসবাসরত মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন ঘটিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সমবায় ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই।
মন্ত্রী বলেন, সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদের দর্শন হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। তিনি এলাকার মানুষকে একত্রিত করে সমবায় প্রতিষ্ঠান করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা যদি সবাই একত্রে থাকি তাহলে যত ষয়যন্ত্রই করা হোক, যত বাধাই আসুক না কেন আমরা সফল হবো। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা তার আদর্শ বুকে ধারণ করে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করেছেন তাদের নানাভাবে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো পরিকল্পিতভাবে নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ সহ অনেক মেগা প্রকল্প ও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার বেশিরভাগই বাস্তবায়নের কাজ চলছে। শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দিতে অবকাঠামো ও যোগাযোগ উন্নয়নে পরিকল্পনা ভিত্তিক কাজ চলছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন গ্রামভিত্তিক সমবায়ের মাধ্যমে সম্মিলিত উদ্যোগকে জনগণের উন্নয়নে কাজে লাগাতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনুরূপভাবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সমবায়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর গণমুখী সমবায় ভাবনার আলোকে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম প্রতিষ্ঠা’ পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া। প্রকল্পটি দেশের সাতটি বিভাগের নয়টি জেলার ১০টি গ্রামে পাইলটিং ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হবে।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের সভাপতি শেখ নাদির হোসেন লিপু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।