Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গণপরিবহন বন্ধ : নজিরবিহীন দূর্ভোগ সিলেটে

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০২১, ৬:৪০ পিএম

ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেটেও বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। এতে নজিরবিহীন দুর্ভোগ ও ভোগান্তির দিন পার করেছেন যাত্রীরা। একই সময়ে সিলেটে শুরু হয়েছে পণ্য পরিবহন ধর্মঘটও। সিলেটের বিভিন্ন ব্রিজে ‘অতিরিক্ত টোল আদায়’ ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাক দেয়া হয় পণ্যপরিবহন ধর্মঘটের। ফলে একইদিনে বাস ও ট্রাক ধর্মঘটে কার্যত অচল হয়ে পড়ে সিলেটের পরিবহন সেক্টর। শুক্রবার দিবাগত রাতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত এসকল পণ্যবাহী ট্রাককে থামতে হচ্ছে হুমায়ুন রশিদ চত্ত্বর সংলগ্ন শাহজালাল ব্রীজের পাশে। এসকল পণ্যবাহী ট্রাকের বেশিরভাগই সবজিবোঝাই। যেগুলো নগরীর অন্যতম কাচাবাজার সোবহানীঘাট ও বন্দরবাজারের লালবাজারে গন্তব্য। এতে পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন উপজেলা ও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

অপরদিকে, হুট করে বাস ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছেন পর্যটন নগরী সিলেটে আসা পর্যটকরা। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ছুটির দিন বলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেটে আসতে শুরু করেন পর্যটকরা। আবার শুক্রবার পুরোদিন সিলেটের বিভিন্ন পর্যন্ট কেন্দ্র ঘুরে কেউ কেউ রাতেই ঢাকার উ্দ্েদশ্যে রওয়ানা দেন আর কেউবা একদিন থেকে পরদিন শনিবার চলে যান। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটে যারা এসেছেন তারা বাসে ফিরতে পারছেন না। ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন তারা। এ অবস্থায় অনেকে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়েছেন ট্রেনমুখী। ফলশ্রুতিতে রেল স্টেশনে দেখা দেয়া টিকিটের জন্য হাহাকার। যদিও সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান বলেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। নির্দিষ্ট সময়ে সবকটি ট্রেন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। বাস বন্ধ থাকায় ট্রেনে একটু চাপ পড়েছে। তবে টিকিটের কোন সংকট নেই বলে জানান তিনি।

সারাদেশের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট। সিলেট থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। কুমারগাঁও ও কদমতলী থেকে থেকে কোন দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। ফলে সড়ক চলে যায় ৩ চাকার দখলে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বেশী ভোগান্তিতে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীরা। বাধ্য হয়ে অনেকে মাইক্রোবাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে চলাচল করেন। অনেক যাত্রীকে বাস টার্মিনালেও বসে সময় কাটাতে দেখা যায় একটি বাসের আশায়। বাস বন্ধ থাকায় তাই যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতে বেশী ভাড়া গুণতে হচ্ছে। এ নিয়ে যাত্রীদের ক্ষোভের যেন কোন শেষ নেই। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকে কুমারগাঁও এবং দক্ষিণ সুরমা কদমতলী বাস টার্মিনালসহ আশপাশ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ