Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জামাতার ছুরিকাঘাতে আহত শাশুড়ির মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জামাতার ছুরিকাঘাতে আহত শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগম (৪৫) ৭দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে সোমবার দুপুরে মারা গেছেন। গত ৯ অক্টোবর সোমবার রাত সাড়ে ১১ টায় বন্দরের সাংবাদিক ফিরোজ খানের ছেলে মাদকসেবী রলি খান তার শ্বাশুড়ির পেটে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় নিহত ফরিদা বেগমের (৪৫) দেবর অহিদ সরদার পিতা-পুত্র ৩ জনকে আসামীকে থানায় মামলা করে। পুলিশ এ মামলায় সাংবাদিক ফিরোজ খান ও তার বড় ছেলে রাজু খানকে গ্রেফতার করে। ছুরিকাঘাতকারী রলি খান পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃত সাংবাদিক পিরোজ খান ৩ দিন পর আদালত থেকে জামীনে মুক্তি পেলেও তার বড় ছেলে জেলে রয়েছে।
মামলার বাদী অহিদ সরদার জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত রুদ্রবার্তা পত্রিকার সাংবাদিক, বন্দরের মদনগঞ্জ লক্ষারচর এলাকার ফিরোজ খানের মেজো ছেলে রলির সাথে ৮ মাস পূর্বে একই এলাকার রইস উদ্দিন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া দুলাল মোল্লার মেয়ে মেহেরুন নেছার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মেহেরুন নেছা জানতে পারে তার স্বামী এক জন নেশাখোর। এ জন্য সে স্বামীর সংসার ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর সুত্রধরে রলি খান তার শ্বাশুড়ির পেটে ৫টি ছুরিকাঘাত করলে পেটের নারিভুড়ি বেরিয়ে আসে। সাথে সাথে বাড়ির লোকজন আহত শ্বাশুড়ি ফরিদা বেগমকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। চিকিৎসার ৭দিন পর সে মারা যান।
এ ব্যপারে বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, ঘটনার পরই ফরিদা বেগম ক্লিনিক্যাল ডেট ছিল, ৭দিন পর সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্ত শেসে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে। এ বিষয়ে মামলা নেয়া হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ