বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রতি এখনো নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবি বলছে, উন্নয়নকাজ তদারকিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের সময় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইউএনও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
স্থানীয় পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উপজেলা নারী নির্বাহী কর্মকর্তার চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইন প্ল্যাটফরমে সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়। এ সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি (পরিচালক) মোহাম্মাদ রফিকুল হাসান, সিনিয়র ফেলো-রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি শাহজাদা এম আকরাম, সাবেক সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি) আবু সাঈদ মো. জুয়েল মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইউএনও একটি উপজেলার প্রধান নির্বাহী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ইউএনও বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের পদমর্যাদা ক্রমানুসারে সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার একটি। স্থানীয় পর্যায়ে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নারী ইউএনও কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন, তা বিশ্লেষণ করাই ছিল এ গবেষণার উদ্দেশ্য।
এতে বলা হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ ইউএনও জানিয়েছেন, ত্রাণসামগ্রী বিতরণে অনিয়ম করার জন্য তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়। এ ধরনের চাপ প্রয়োগের ফলে অতিরিক্ত ত্রাণসামগ্রীর জন্য সুপারিশ করতে বাধ্য হতে হয়- বলেছেন ২০ শতাংশ ইউএনও। ভুয়া ব্যয়ের বিল অনুমোদন দিতে বাধ্য করা হয় ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ইউএনওকে। ক্রয় সংক্রান্ত কাজে অনিয়ম করার জন্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইউএনওকে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, সহকর্মীদের থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পান না ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ ইউএনও। উপজেলায় দুর্নীতিবিরোধী কাজের ক্ষেত্রে তারা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন ৩১ দশমকি ৪ শতাংশ ইউএনও। বিভিন্ন মহল থেকে অনৈতিক কাজের জন্য চাপ পান প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ইউএনও। রাজনৈতিক প্রভাবের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন ৩১ শতাংশ ইউএনও। উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন জনসেবামূলক কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হন ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইউএনও। উন্নয়ন কার্যাবলী তদারকিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের সময় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ৫ দশমিক ৭ শতাংশ ইউএনও।
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, গবেষণায় উঠে এসেছে- বিশেষ পরিস্থিতিতে নারী ইউএনও'র জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও দুর্যোগ মোকাবেলায় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন ৯৮ শতাংশ নারী ইউএনও। টিআইবির মতে, নারী ইউএনওদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণের পেছনে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা এবং সুশাসনের অভাবই দায়ী। এদিকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি তৈরিতে ১৪৯ জন নারী ইউএনওকে প্রশ্ন পাঠানো হয়। এর মধ্যে মাত্র ৪৫ জন উত্তর দিয়েছেন। ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে জরিপটি পরিচালনা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।