Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রণিসম্পদ খাতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরিতে কাজ করছে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৩২ এএম

প্রাণিসম্পদ খাতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর সেমিনার হলে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)-এর আওতায় খামারিদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রæপ গঠন ও সংহতকরণ সংক্রান্ত বিভাগীয় কর্মশালায় মন্ত্রী এ কথা করেন। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে ঢাকা বিভাগে এ কর্মশালা আয়োজন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে কাজ করছে। এ জন্য সরকার প্রাণিসম্পদ খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে সরকার উদ্যোক্তা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, তৃণমূল মানুষদের দক্ষ জনশক্তিকে পরিণত করতে না পারলে জাতিকে সামনে এগিয়ে নেয়া যাবে না। আমাদের জনসংখ্যা বর্তমানে জনশক্তিতে পরিণত হয়েছে। আগামীর লক্ষ্য তৃণমূল মানুষদের দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা। এভাবে আমরা টেকসই উন্নয়ন করতে চাই।
তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প সারাবিশ্বে প্রাণিসম্পদ খাতের অন্যতম বড় প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে খামারিদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা হবে। বৈদেশিক অর্থায়নের এ প্রকল্পের অর্থ যাতে অপব্যবহার না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসায় বেকাররা কর্মোদ্যক্তা হচ্ছে। গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে। পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। বিদেশে মাংস রফতানির সুযোগ এসেছে।
সেমিনারে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬১টি জেলায় গাভীর ৩ হাজার ৩৩৪টি, গরু মোটাতাজাকরণের ৬৬৬টি, ছাগল ও ভেড়ার ৫০০টি এবং দেশি মুরগির ১ হাজারসহ মোট ৫ হাজার ৫০০টি প্রডিউসার গ্রæপ গঠন ও সংহতকরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ১ লাখ ৬৫ হাজার পরিবার সংযুক্ত হবে। এর মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ খাতের প্রান্তিক খামারিদের বিভিন্ন ভেল্যু চেইনভিত্তিক প্রডিউসার গ্রæপে যুক্ত করে তাদেরকে জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত, বাজারজাতকরণ, ঋণ ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি তারা যাতে এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হয় সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুবোল বোস মনি, এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট ক্রিস্টিয়ান বার্জার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী এফএও প্রতিনিধি নূর আহমেদ খন্দকার। এলডিডিপি প্রকল্প নিয়ে উপস্থাপন করেন প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ড. গোলাম রাব্বানী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ