পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম আবারও বাড়িয়েছে। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এক হাজার ২৫৯ টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার ৩১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম আজ (৪ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বিইআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। একই দিন রাজধানীর কাওরান বাজারে বিইআরসি সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ দাম ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সচিব রুবিনা ফেরদৌসী, সদস্য মকবুল-ই-ইলাহি, আবু ফারুকসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তিতে এলপিজি গ্যাসে কেজি প্রতি সাড়ে ৪ টাকা বেড়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে নভেম্বর মাসের জন্য এলপিজি মুসকসহ কেজি প্রতি ১০৪ দশমিক ৯২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা করা হয়েছে। গত অক্টোবরে এলপিজি মুসকসহ কেজি প্রতি ৮৬ টাকা ৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৪ দশমিক ৯২ টাকা করেছিল বিইআরসি। এর ফলে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম অক্টোবর মাসে এক হাজার ৩৩ টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার ২৫৯ টাকা হয়। গত ১০ অক্টোবর থেকে এই দাম কার্যকর করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একইসঙ্গে বেড়েছে পরিবহনে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দাম। যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত। নভেম্বর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৮ দশমিক ৬৮ থেকে বাড়িয়ে ৬১ টাকা ১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। লিটারে বেড়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা। আর গেল অক্টোবরেই বেড়েছিল ৮ টাকা ১২ পয়সা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সউদি সিপি অনুসারে সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে টন প্রতি ৮৭০ এবং ৮৩০ ডলার, মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় নভেম্বরে জন্য এ নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যা অক্টোবরে ছিল যথাক্রমে প্রতি টন ৮০০ ডলার এবং ৭৯৫ ডলার। জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সউদি সিপি ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করেছে বিইআরসি।
জানা গেছে এলপিজির দাম সমন্বয় করা হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানে না ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দেড়শ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয় এলপিজি সিলিন্ডার। ফলে এলপিজি ব্যবহারে বাড়তি অর্থ গুণতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের এবং মুনাফা লুটছে কোম্পানি, ডিলার আর খুচরা ব্যবসায়ীরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।