Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী লীগ মনে করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি-মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও থেকে স্টাফ রিপোটার | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২১, ৪:৩২ পিএম

 বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাম্প্রদায়িক হামলা এদেশে হয়, কারণ আওয়ামী লীগ মনে করে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি এবং সেভাবেই তাদের সাথে ডিল করে। দেশ স্বাধীনের পর থেকে জরিপ করে দেখা যাবে এই ঘটনাগুলো বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই হয়েছে। আর এবারের সব ঘটনাতেই আওয়ামী লীগ সরকার জড়িত, সেগুলো তো পত্র পত্রিকায় চ্যানেলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী কয়দিন আগে বলেছেন দেশে কোনো মন্দির ধংস হয়নি। আমি আশা করি এসব বিষয় আমার হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইবোনেরা ভালোভাবেই জানেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে উন্নয়ন করছে তা দেশের উন্নয়ন না , দূর্নীতির উন্নয়ন।তারা যে মেগা প্রজেক্টগুলো করেছে সেগুলো করাই হয়েছে মেগা দূর্নীতির জন্য। বিএনপি মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক ফোরামের ভার্চয়াল সভায় দেয়া বক্তব্যে, “বিএনপি দেশের ভালো চায়না। তারা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে, যেহেতু তারা দূর্নীতি করতে পারছে না” এ বক্তব্যের জবাবে এসব কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন, তারা সরকারের যে কোনো দপ্তরে কাজের প্রয়োজনে গেলে দূর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হয়না। বিগত সময়গুলোতে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা যে বিপুল বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছেন, সেই পরিমাণটা হিসেব করলেই আপনারা বুঝতে পারবেন যে দূর্নীতিটা কোথায় এবং কি পরিমাণে হচ্ছে। মির্জা ফখরুল সরকারের সবচাইতে বড় সফলতা হিসেবে দাবি করা পদ্মা সেতুর প্রশ্নে বলেন, যেখানে এই প্রজেক্টটা শুরু হয়েছিলো ১০ হাজার কোটি ডলারের বাজেটে তা এখন দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার কোটি ডলারের প্রজ্েেক্ট। এভাবে সবগুলো মেগা প্রজেক্টকে বাড়িয়ে সরকারের শীর্ষ নেতারা এগুলো থেকে লুটপাট কওে নিজেদেরকে বিত্ত বৈভবে সমৃদ্ধ করেছেন।
তারেক জিয়া লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছে, সাহস থাকলে দেশে এসে রাজনীতি করুক, আওয়ামী লীগের এ দাবীর প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০৮ সালে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের অবৈধ সরকারের সাথে আঁতাত করে আওয়ামী লীগ তখন থেকেই তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেন। তারেক জিয়ার কোথাও কোনো ব্যাংক একাউন্ট বা লুটপাটের প্রমাণ না পেলেও তাকে অপপ্রচারের মাধ্যমে কলুষিত করার অপ”েষ্টা কওে আসছে। বিপরীতে দেশে গণতন্ত্র না থাকায়, অলিখিত সেন্সরশীপ চালু থাকায় তারেক জিয়া সম্পর্কে বিএনপি সত্য কথা প্রকাশ করার সুযোগ পায়নি। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আপনারা নির্দলীয় তত্ববধায়ক সরকার গঠন করে নির্বাচন দিন, তাহলে তারেক জিয়া দেশে আসার পর যে গণজোয়ার শুরু হবে, সেটা আপনারা সামলাতে পারবেন তো?

বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে মির্জা বলেন, আলুর দাম কোল্ডস্টোরে কম কিন্তু ঢাকায় বেশি। কৃষকদের ন্যায্য মূল্য পাইয়ে দিতে সরকার কার্যকরি ব্যাবস্থা নিতে ব্যার্থ হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে ব্যার্থ। ব্যাবসায়ি সিন্ডিকেট সরকারের সহযোগীতায় এই দাম বৃদ্ধি করছে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ