বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কথা দিয়ে কথা রাখলেননা সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি মতিয়া চৌধুরী। এমন অভিযোগ করলেন শেরপুরের নকলা উপজেলার ৯নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখলেছুর রহমান। তিনি অভিযোগ করেন, বারবার তিনি মনোনয়ন চাইলেও তাকে পরবর্তীতে মনোনয়ন দেয়া হবে। গতবার নির্বাচনের পরে তিনটি সভায় এসে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী কথাদেন এ বছর চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে তাকে (মোখলেছুর রহমান) মনোনয়ন দেয়া হবে। কিন্তু তাকে ও জনগনকে দেয়া কথা তিনি (মিতয়া চৌধুরী) রাখেননি। তার অর্থ না থাকায় মনোনয়ন বানিজ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। উল্টো টাকার বিনিময়ে বছর তিনটি মিটিংএ তিনি কথা দেন বর্তমান চেয়ারম্যান সাজুকে পুনরায় মনোনয়ন দেন। তাই তিনি আজ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনােনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়ন পত্র দাখিলের আগে চরমধুয়া স্কুল মাঠে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব অভিযোগ করেন। এসময় চন্দ্রকোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখলেছুর রহমান আরো বলেন, আওয়ামলীগ করতে গিয়ে আমার বড় ভাই চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান ২০০১ সালে বিএনপির সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন। বিভিন্ন মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে স্ট্রোক করেন এবং এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। আমিও অর্ধশত মিথ্যা মামলার আসামী হই। আর এর রেজাল্ট হলো উল্টো।
অপরদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামের ভাই সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা বর্তমান চন্দ্রকোনা কলেজের গ্রন্থাগারিক কামরুজ্জামান গেন্দু দলীয় মনােনয়ন না পেয়ে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, নৌকা নয় আমি মাঝির বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি। কারণ যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী পরিবারের সদস্য। সাজু সাইদ সিদ্দিকির চাচা পিচ কিমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ের তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে নকলার চন্দ্রকোনা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান সাজু সাইদ সিদ্দিকি তার ও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন। দলের নেতারা ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আমার জনপ্রিয়তা দেখেই মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন নিয়ে আসিনাই। এবারের নির্বাচনেই এর প্রমান পাওয়া যাবে। জনগণ আমাকে আবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন।
উল্লেখ্য: নকলা উপজেলা ইউপি নির্বাচনে ৯ ইউনিয়নে ৩৩ জন প্রার্থী রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।