Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

রংপুরে তাজুলের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

পুলিশের অভিযানের পর মৃত্যুবরণকারী তাজুল ইসলামের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছেÑ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের দৃষ্টিতে আনলে বিচারপতি মামনুন রহমান এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ তা জানতে চান। এর আগে বিষয়টি নজরে আনেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, ঘটনার পুরো বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে খবর নিতে সরকারপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা হাইকোর্টকে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আজ (বুধবার) এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনানি ও আদেশ প্রদানের কথা রয়েছে। এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় রংপুরের হারাগাছ এলাকায় পুলিশের অভিযানের পর তাজুল ইসলামের মৃত্যু হয়। তিনি হারাগাছ পৌর এলাকার দালালহাট নয়াটারী গ্রামের বাসিন্দা।

‘পুলিশি নির্যাতনে’ তার মৃত্যু হয়েছে-মর্মে খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর হারাগাছের নতুন বাজার বছিবানিয়ার তেপথি মোড়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটকের পর মারধর করা হয়। তখন ধাক্কায় দেয়ালে লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান তাজুল। এর প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

তবে হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী বলেন, তাজুল হেরোইন সেবন করছিলেন- এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। তাকে আটকের পর হ্যান্ডকাপ পরানো হলে তিনি মলত্যাগ করে ফেলেন। এ ঘটনার পর পুলিশ তাজুলকে স্থানীয়দের জিম্মায় দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণ পর খবর আসে তাজুল মারা গেছেন।

থানায় হামলার অভিযোগে মামলা
এদিকে রংপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, রংপুরের হারাগাছে পুলিশের হাতে আটকের পর একজনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতার থানায় হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় হারাগাছ থানায় দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। এলাকাবাসীর মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করলেও বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

হারাগাছ থানা পুলিশের ওসি শওকত আলী সরকার জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় নতুন বাজার তেপতি এলাকা থেকে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় আটক করে তাজুল ইসলামকে হাতকড়া পরানো হয়। এতে ভয়ে সে মলত্যাগ করে ফেলে এবং হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় পুলিশ হাতকড়া খুলে দেয়। এরপর পুলিশ তাজুলকে স্থানীয়দের জিম্মায় দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণ পর খবর আসে যে তাজুল ইসলাম মারা গেছেন।

এলাকাবাসী খবর পেয়ে থানা ঘেরাও করে ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। এরমধ্যে একটি অপমৃত্যুর ও অপরটি থানায় হামলা ও ভাঙচুরসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগে। দু’টি মামলায়ই পুলিশ বাদী হয়েছে।

আরপিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, হারাগাছের ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ