রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রায়পুরে এক ধরণের অসাধু ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। ফলে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে।
পণ্য ক্রয়ে এখানে প্রতি কেজি চাল (মোটা) ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, চিকন চাল (মিনিকেট) ৬২-৬৪ টাকা যা আসলে মিনিকেট নয়। স্বর্ণা ৫৫ টাকা। এছাড়া মসুর ডাল (ভারতীয়) ১৩০ টাকা, দেশি ৯০ টাকা, আটা ৩৩ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, রসুন ১২০ টাকা, সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৬০ টাকা, যা ১ মাস আগেও বিক্রি হতো ৯০-১০০ টাকায়। সরিষা তেল লিটার ২৪০ টাকা যা বিক্রি হতো ১৫০ টাকা। অসাধু ব্যবসায়ীরা গুদামজাত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে বলে ভোক্তাগণ জানান। এতে ভোক্তা সাধারণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম কিনেই বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
ভোক্তাদের মধ্যে আবুল হাসেম, আবদুল কুদ্দুস ও মো. আলী আহম্মদ, মো. তারেক রহমান ও জহির রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, আপনারা পত্রিকায় লিখলে বাজার মনিটরিং করার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নজরে আসলে অন্তত খেয়ে পরে বাঁচতে পারবো।
সরেজমিনে গত সোমবার এ প্রতিনিধি শহর ঘুরে উল্লিখিত ব্যক্তিদের কথার সাথে মিল খুঁজে পায়। অপরদিকে তরি-তরকারিসহ সকল সবজির দাম প্রায় দ্বিগুন। ৩০০ টাকার কেজির মাছ এখন ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রিয় হচ্ছে। গরু ৭৫০ টাকা, খাসির গোস্ত ১১০০ টাকা, ফার্ম মুরগি ১৯০ এবং কক আগের তুলনায় কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধিতে বিক্রি করা হচ্ছে।
অর্থাৎ এ বিষয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ির সাথে কথা হয়। তাদের মধ্যে সুলতান আহম্মেদ, আলী আহম্মদ, আলম ভূঁইয়া জানান, আমরা বেশি দামে ক্রয় করতে হয় বিধায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে, অন্য এক প্রশ্নের জবাবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা আড়ৎদার হলেও আমরা দেশের দূর-দূরান্ত থেকে মালামার ক্রয় করে থাকি।
ওরা আমাদের থেকেও অনেক বড় আড়তদার। তারা আমাদের খুব একটা ছাড় দিচ্ছে না। সূত্র জানায়, বাজার মনিটরিং থাকলে ভোক্তা এবং আমরাও বাজার ওঠা নামার মধ্যে হিমশিম থেকে হচ্ছে। যদিও তাদের কথার সাথে মিল থাকলেও বাজার মনিটরিং প্রায় হচ্ছে।
এই নিয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিন চৌধুরী জানান, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো। অপর দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা ভোক্তা অধিকার অফিসের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন জানান, আপনি অভিযোগ করুন। আমি অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।