দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির কোনো মাথা ব্যাথা নেই - মির্জা ফখরুল
ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২১, ৪:৩৩ পিএম
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির কোন মাথাব্যাথা নেই উল্লেখ কওে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাটা এখন এই সরকারের হাতে পরে বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শীঘ্রই শেষ হচ্ছে , এ বিষয়ে তাঁর অবস্থান জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল একথা বলেন । তিনি বলেন,আমাদের দাবী সেটাই যা এক সময় আওয়ামী লীগের দাবী ছিলো, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে নির্বাচন কমিশন কোন কিছ ুকরতে পারেনা। সে কারনেই আমরা বিগত নির্বাচনগুলো বর্জন করেছি, নির্বাচন কমিশনকে সার্চ কমিটিতে আমাদের মতামত দিয়েছি কিন্তু এই সরকার কোন কিছু গ্রহণ কওোস। সে কারণেই আমাদের পুরাতন দাবি নির্বাচনকালীন সময়ে একটি তত্বাবধায়ক নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদেও সাথে মতবিনিময় সভায় এসব মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি’র কোনো কোনো প্রার্থীর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে স্থানীয় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি এক্ষেত্রে মনে করে , স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করার বর্তমান ব্যবস্থা খুবই ত্রæটিপূর্ণ, এখানে দলনিরপেক্ষভাবে নির্বাচন হওয়া উচিৎ। স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় মার্কা দিয়ে নির্বাচন করতে গেলে গ্রামীন যে সমাজ ও রাজনীতি তা পুরোপুরিভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। আমাদের দলের যারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে সেখানে আমাদের কোন বাঁধা থাকবে না।
গত দূর্গাপূজার সময় সংগঠিত মন্দির ভাংচূড় ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির ঘটনায় তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে বিতাড়িত করার জন্যই আওয়ারী পরিকল্পিতভাবে এসব ঘটনা ঘটায়। তিনি এর উদাহরণ হিসেবে বিভিন্ন মামলায় বরকতউল্লা বুলুসহ বিএনপি’র নেতাকর্মীদের জরানোর উল্লেখ করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি আওে াবলেন, উনাকে নিজের চেহেরা এবং নিজ দলের চেহেরা আয়নায় দেখা উচিৎ। তারা সম্পূর্নভাবে জনগণের সাথে প্রতারণা কওে আগের রাতে নির্বাচন কওে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জোর কারে ক্ষমতা দখল কওে বসে আছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম,আল মামুন আলম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।
