Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাউফলে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি

বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী )সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২১, ৬:১৬ পিএম

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামাল হোসেন বিশ্বাস এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা হাওলাদারের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সোমবার দুপুরে নওমালা ইউনিয়নের নগরের হাট এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগের কয়েক নেতা-কর্মী ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন ডাক্তার বাড়িতে গনসংযোগ করতে যান। তখন ঘোড়া পক্ষের কর্মী সমর্থকরা তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঞ্চিত করে। এর জেরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নগরের হাট এলাকায় নৌকার নেতাকর্মীরা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শাহজাদার বাড়িতে হামলা করলে ছুটে আসে ঘোড়ার সমর্থকরা। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এসময় গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল হোসেন বিশ্বাস বলেন, আমাদের গনসংযোগে বারবার বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। নৌকার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। ঘোড়ার কর্মী মিজান (৩৫) তাঁর নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তাবে শাহজাদার হাওলাদারের বাড়িতে হামলার অভিযোগ অস্বিকার করেছেন।
আওয়ামীগ বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শাহাজাদা হাওলাদার বলেন, নগরের হাট বাসভবনে ও দোকানে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল হোসেনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। আমার কর্মীরা কোন গুলি করেনি। কারো কোন গন সংযোগে বাঁধা দেওয়া হয়নি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সংঘর্ষ ও গুলি ছোড়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,‘দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় তিন-চার রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। যাঁরা গুলি ছুড়েছে তাঁদেরকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
এর আগে গত শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নওমালা কলেজ সড়কের সাহা গাজীর বাড়ির সামনে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ওই সময় শাহাজাদা হাওলাদারের কর্মী মো. সজীব (২০) কামাল হোসেনের পক্ষের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর শরীর থেকে গুলি বের করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ