পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের কারাগারগুলোর কনডেম সেলে মৃৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১ হাজার ৯৮৭ জন আসামি রয়েছেন। কারাভ্যন্তরে তাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এ তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে কারা অধিদফতরথেকে পাঠানো তথ্য দাখিলের পর এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, দেশের কারাগারগুলোতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে ১ হাজার ৯৮৭ জন কয়েদি কনডেম সেলে বন্দি রযেছেন। এরমধ্যে পুরুষ কয়েদি আছেন ১ হাজার ৯৩৩ জন। নারী কয়েদি রয়েছেন ৫৪ জন। তবে দেশে মোট কনডেম সেলের সংখ্যা ২ হাজার ৫৯৯টি। ১৯ সেপ্টম্বর পর্যন্ত এ হিসাব দেয় কারা অধিদফতর। গত ২০ সেপ্টেম্বর কারাগারগুলোতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কনডেম সেলে থাকা সব বন্দিদের তথ্য চান হাইকোর্ট।
গত ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে অ্যাডভোকেট শিশির মনির এ রিট করেন। রিটে সরকার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
রিট পিটিশনাররা হলেন, চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। রিট আবেদনে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে আবদ্ধ রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুলের আর্জি জানানো হয়েছে। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীদের কনডেম সেল থেকে স্বাভাবিক সেলে স্থানান্তরের আবেদন করা হয়।
একইসঙ্গে দেশের সব জেলের কনডেম সেলে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের রাখার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে (সুযোগ-সুবিধা) কারা মহাপরিদর্শককে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, আইজিপি, আইজি প্রিজন্স, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা সিনিয়র জেল সুপারকে বিবাদী করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত কোনো বিধান নেই। মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করতে কয়েকটি আবশ্যকীয় আইনগত ধাপ অতিক্রম করতে হয়। প্রথমত, ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৭৪ ধারামতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। একইসঙ্গে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে আপিল দায়েরের বিধান রয়েছে। দ্বিতীয়ত, হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সাংবিধানিক অধিকার বলে আপিল বিভাগে সরাসরি আপিল দায়ের করতে পারেন। তৃতীয়ত, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৫ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের আইনগত সুযোগ রয়েছে। সর্বোপরি, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৯ এর অধীন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। প্রেসিডেন্ট ওই ক্ষমার আবেদন নামঞ্জুর করলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আইনগত বৈধতা লাভ করে।
কিন্তু বাংলাদেশে বিচারকি আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্জন কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে বন্দি রাখা হয়। দেশের কারাগারগুলোতে ২ হাজার ৫ জন ফাঁসির আসামি কনডেম সেলে বন্দি আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।