Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খানাখন্দে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

আক্কেলপুর-জয়পুরহাট সড়ক উন্নয়নের নামে সড়কে খোয়া ও বালু ঢেলে রাখলেও গত কয়েক বছরে সড়কে কোনো কাজ হয়নি

কামাল আতাতুর্ক মিসেল | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

উন্নয়নের নামে সড়কে খোয়া ও বালু ঢেলে রাখলেও গত কয়েক বছরেও সড়কটিতে আর কোন কাজ হয়নি। এতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিন দিন এই সড়কে চলাচলে ঝুঁকি এবং দুর্ভোগ দুটোই বাড়ছে। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর এলাকায় উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণের নামে আক্কেলপুর-জয়পুরহাট সড়কের কার্পেটিং তুলে খোয়া ও বালু ঢেলে রাখা হয়েছে দুই বছর ধরে। ১৮ কিলোমিটার সড়কের ১২ কিলোমিটারই চলাচলের অনুপযোগী। ফলে এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সেই সাথে পথচারীদেরও চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিনেও সড়কটির কাজ না করায় খোয়া সরে গিয়ে মাঝখানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ভারি যানবাহনগুলো মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। অবিলম্বে সড়কটি সংস্কার করা না হলে যেকোন সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে জাফরপুর থেকে আক্কেলপুর পর্যন্ত এই সড়কটি সম্পূর্ণ চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় ১০ মিনিটের পথ পারি দিতে সময় লাগছে ১ ঘণ্টারও বেশি সময়।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৭ মে কার্যাদেশ পাওয়া আক্কেলপুর-জয়পুরহাট সড়কের ১৮ কিলোমিটার উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ২৬ আগস্ট। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে এ বছরের ১৫ জুন নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সে সময় পার হলেও কাজটির অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৫৬ ভাগ। অথচ জনগুত্বপূর্ণ এইসড়কটি জনসাধারণের চলাচলের পাশাপাশি জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলার উৎপাদিত কৃষিপণ্যে রাজধানীসহ দেশেরে স্থানে ট্রাক যোগে পরিবহন করা হয়। এলাকার কৃষকের উৎপাদিত আলু, পোটল, বেগুন, মুলা, কপি, পেয়াজ, রসুন বিক্রির জন্য আক্কেলপুরের কোলাতে দু’টি হাট বসে। এসব হাটগুলো থেকে সবজি ব্যবসায়ীরা শত শত মন সবজি ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। জরুরি ভিত্তিতে গর্ত সৃষ্ট হওয়া স্থানগুলো ঠিক করা না হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে অনেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। খানাখন্দে প্রতিনিয়ত যানবাহন পরে যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরে থাকতে দেখা যায়। এছাড়াও এ সড়ক দিয়ে রোগী নিয়ে চলাচল করতে জনসাধারণকে বিপদের মুখে পড়তে হয়।
মোটরসাইকেল আরোহী শাখাওয়াত হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রায়ই জ্যাম লেগে থাকে। কোন যানবাহনে ঠিকমতো চলাচল করা যায় না।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, আমরা চুক্তি বাতিলের জন্য ২৮ দিনের নোটিশ দিয়েছি। ২৮ দিনের মধ্যে যদি কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক না হয় তাহলে আমরা চুক্তি বাতিলের ব্যবস্থা নেব এবং নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজটি বাস্তবায়ন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ