রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
লোহাগড়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা পলাশ মাহমুদ হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। পরিবারের অভিযোগ আসামিরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। গত শনিবার বিকালে পলাশের বাড়ি চরমল্লিকপুর গ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্ত্রী জেরিন আক্তার, মা পলি বেগম, পিতা খোকন শেখ এ দাবি করেন। এ সময় জেরিন আক্তার কান্না জড়িতকন্ঠে বলেন, আমার স্বামী হত্যায় এক মাসের শিশু সন্তান পিতৃহারা এবং আমি অকাল বিধবা হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী পিতৃহারা সন্তানের কষ্ট বোঝেন। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে এ হত্যার বিচার চাইবো। পলাশ মাহমুদ উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামের খোকন শেখের ছেলে এবং উপজেলা যুবলীগের কর্মী এবং লোহাগড়া বাজারের ফল ব্যবসায়ী।
উল্লেখ্য, লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ হাসান ও সজিব মুসল্লীর সাথে পলাশের দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দ্বন্দ¦ ছিল। এছাড়া আসন্ন মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সামনে রেখে এই শত্রুতা চরম আকার ধারণ করে। এরই জের ধরে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে পলাশকে আসামিরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পলাশের মা পলি বেগম বাদী হয়ে মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান ও তার দুই ভাইসহ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীব মুসল্লী, সাবেক সম্পাদক রাশেদ মোল্যাসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৮-৯ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে হত্যাকান্ডের ৬ দিন পার হলেও কোন আসামি আটক হয়নি।
লোহাগড়া থানার ওসি আবু হেনা মিলন জানান, আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।