Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগাম শীতকালীন সবজিতে বাজার ভরা, তবে দাম চড়া

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ২:০৭ পিএম

এখনো শীত না এলেও বাজার ভরা আগাম লাগানো শাকসবজিতে। ফুলকপি বাঁধাকপি বেগুন মূলা, বরবটি টমেটো, লাউ, কুমড়োয় বাজার ভরা। তবে সব কিছুর দাম চড়া। নাগালের বাইরে সাধারণ ভোক্তাদের। আবার বেশী দাম হলেও দুপুরের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যার টাকা আছে তার সব আছে। প্রত্যেক বছর কিছু লাভের আশায় চাষী শীতকালীন আগাম জাতের শাকসবজি আবাদ করে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাছাড়া এবার বরেন্দ্র অঞ্চলে বানের পানি হানা দিতে পারেনি। বর্ষণও ছিল মোটামুটি। ফলে আবহাওয়া ছিল সবজি চাষের অনুকল। ফলে এবার আগাম লাগানো এসব ফসলের ফলনও ভাল হয়েছে। বাজারেও সরবরাহ বেড়েছে। পাইকাররা মাঠে মাঠে গিয়ে শাকস্বব্জি কিনছেন। আবাদকারীরা প্রত্যাশিত দাম না পেলেও মধ্যসত্ব ভোগীরা লাভের গুড় পিঁপড়েয় খাওয়ার মত খেয়ে নিচ্ছে। ফলে এসব শীতকালীন স্বব্জির দাম থাকছে চড়া। সরেজমিন মাঠ পয্যায়ে গিয়ে দেখা যায়, ফুলকপি, বাধাকপি প্রতিকেজি ত্রিশ টাকার মধ্যে। পাইকাররা কিনলেও তা হাত বদল হয়ে শহরে বাজারে এসে হয়ে যাচ্ছে ষাট সত্তর টাকা। কেন এত দামের ফারাক তার জবাব নেবার বা দেখার কেউ নেই। দামের কারনে এখনো স্বাদ নিতে পারছেনা সাধারন ক্রেতা। তাদের হা পিত্যেশ থেকেই যাচ্ছে। শীতকালীন শাক স্বব্জি আবাদ শুরু হয়েছে মাঠে মাঠে। এসব ফসল উঠলে মাস দুয়েক পরে তা সাধারন ভোক্তাদের নাগালে আসবে। স্বাদ পরখ করে দেখবে। শেষদিকে এমন সময় আসে যখন এখনকার চল্লিশ টাকা কেজির মুলাও মূল্যহীন হয়ে যায়। সত্তর টাকার ফুলকপি পনের বিশ টাকা।
রাজশাহীর পাশ্ববর্তি এলাকার শাকস্বব্জি মাঠ থেকে প্রথমে আসে খড়খড়ি বাজারে। সেখান থেকে নগরীর বড় কাঁচা মালের বাজার মাষ্টারপাড়ায়। এছাড়াও যায় অন্য বাজারে। ভ্যান গাড়িতে তরকারী ফেরী ওয়ালারা এখান থেকে কিনে মহল্লায় মহল্লায় বিক্রি করে। সাহেব বাজারে আসে অপেক্ষাকৃত বাছাই করা পন্য। এখানে দাম আরও বেশী।
মাঠ পয্যায়ে পর্যবেক্ষনের সময় দেখা যায়, আমন ধানের বির্স্তীন ক্ষেতের পাশাপাশি শীতকালীন শাকস্বব্জির আবাদ চলছে জোরে শোরে। আলু লাগানো হচ্ছে। কদিন আগে পুরাতন আলু কোল্ডটোরেজ খালি করা) বিক্রি হয়েছে সাত আট টাকা কেজি দরে। হঠাৎ করে সেই আলু উঠে গেছে কুড়ি টাকার উপরে। আগাম পেয়াজ যা ঢেমনা পেয়াজ নামে পরিচিত। সেটির আবাদ হচ্ছে। পালং শাক লাল, সবুজ শাকের লাল সবুজের বিছানা নজর এড়ায়না।
এবার বরেন্দ্র অঞ্চলের চার জেলা রাজশাহী, নওগা, নাটোর, চাপাইনবাবগঞ্জে শীতকালীন সব্জি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে একচল্লিশ হাজার হেক্টরের বেশী জমিতে। সেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চুরাশী লাখ টন। এমন তথ্য জানান কৃষি বিভাগ।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এবার জেলায় রবিশষ্যের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে আঠারো হাজার হেক্টর জমিতে। আবাদ হবে ফুলকপি, বাধকপি, সীম, বেগুন, টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের শাকস্বব্জি। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে উচু এলাকার আবাদ করা আগাম শাকস্বব্জি এখন বাজারে। শাকস্বব্জির দাম নিয়ে নগরীর পাইকারী বাজার মাষ্টারপাড়ায় ব্যবসায়ী তপন মিয়া বলেন, এখন যে দাম শুরু হয়েছে তা আর কমবেনা। কারন হিসাবে জানান মাসের প্রথম সপ্তাহে বাজার সদাই করেন চাকুরীজীবিরা। তাদের বেতন হয় মাসের শুরুতেই। তার একটু বেশী কেনাকাটা করেন। ফলে চাহিদার সাথে বাড়ে দাম। মাঝামাঝি সময় থেকে কমতে থাকে। পুরোদমে সরবরাহ না হওয়া পর্যন্ত বাজারে উত্তাপ থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ