বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার রাতে তৌফিকুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত রক্তিম দে (২১) ও সীমান্ত (২১) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুইজন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।
মামলার আসামিরা হলেন, সাদ মো. গালিব, আহসানুল কবির রুমন, জাহিদুল ইসলাম জিসান, মাহাবি বিন হাসিম, আসিফ বিন তাকি, ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, মাহতাব উদ্দিন রাফি, জাহিদুল আলম জিসান, সৌরভ ব্যাপারী, মো. আনিস, রক্তিম দে, আহসাব উদ্দিন, তানভীর ইসলাম, নাজমুস সাদাত আসিফ, এনামুল হাসান সীমান্ত, রিজওয়ান আহমেদ। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত দুই দফায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষ হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীরা আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে ওই হামলায় দুজন ছাত্রলীগ নেতা আহত হন। তারা হলেন চমেকের ৬১ ব্যাচের মাহফুজুল হক (২৩) এবং ৬২ ব্যাচের নাইমুল ইসলাম (২০)। রাতের ঘটনায় আহত দুজনই আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। রাতের ঘটনার জের ধরে শনিবার সকাল ৯ টায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীদের একজন আকিব হোসেনকে (২০) একা পেয়ে বেধড়ক পেটায় আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা। এর পরপরই শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীদের ধাওয়া খেয়ে চমেক প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকে পড়ে আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানেই অবরুদ্ধ ছিল তারা।
পরে এই হামলার ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য চমেক বন্ধ ঘোষণা করে কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। সন্ধ্যার মধ্যেই সকল শিক্ষার্থীকে হল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।