Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমনে স্বপ্ন বুনছেন গারো পাহাড়ের কৃষক

এস. কে সাত্তার. ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

শেরপুরের গারো পাহাড়ি উপজেলা ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীর বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে রোপা-আমন ধানের সবুজের সমারোহ।
মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে আমন। মাঠের সোনালি আমন ধানকে ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনছেন কৃষক। বোরো ধানে ফলন ভালো হওয়ায় আমনে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়ে কৃষক। তাই অশাতীত ফলনের আশায় আমনে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক।
বোরো ধানে ভাল দাম পেয়ে কৃষকদের উৎসাহ বেড়ে যায়। আমন ধান রোপনের পর জমিতে পরিচর্যায় মাঠের অবস্থাও ভালো। তাই আশায় বুক বেঁধেছেন কৃষকরা। যে অবস্থা তাতে কৃষকরা বাম্পার ফলনের আশা করছেন। আবাদের অবস্থা দেখে তাদের চোখে-মুখে এখন আনন্দ আর হাসির ঝিলিক।
প্রতাবনগর গ্রামের প্রবিণ কৃষক আব্দুল বারী, সারিকালিনগর গ্রামের শরীফ উদ্দিন সরকার, প্রতাব নগরের রেজাউর রহমান মাস্টার, শালচুড়ার সরোয়ার্দী দুদু মণ্ডল ও মোল্লাপাড়া গ্রামের মোরাদ হোসাইন জানান, বোরো আবাদের চেয়ে আমনে খরচ কম তাই আমন চাষে তারা অনেক বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ুন কবির জানান, চলতি রোপা-আমন মৌসুমে উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫হাজার ৫৫০হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা মাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে সাড়ে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আমনের ফলন গত বছরের চেয়ে ভালই হবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।
কৃষকরা জানান, আমন-রোপণের পর পরিমিত বৃষ্টিতে জমিতে পানির কোনো চিন্তা করতে হয়নি। সঠিক পরিচর্যায় ধান গাছে থোকায় থোকায় শীষ এসেছে। যে অবস্থা তাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রতি বিঘাতে ২০-২২ মণ ধান পাওয়া যাবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ জানান, বর্তমানে কৃষিতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। উন্নত বীজ পাওয়ায় কৃষকরা ধান চাষে লাভের মুখ দেখছেন। তাছাড়া ইরি-বোরো আবাদে যে খরচ হয় তার চেয়ে আমন আবাদে খরচও কম। বোরোর চেয়ে আমনে ফলনও বেশী হয়। তাই লাভবান হবেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, গোটা পাহাড়ি এলাকায় প্রথম দিকে টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবং পাহাড়ি ঢলের পানি সময় মতো নেমে যাওয়ায় ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আমনের বাম্পার ফলন আশা করা যায়। তাছাড়া ফলন ভাল করতে সার্বিকভাবে স্থানীয় কৃষকদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। সুতরাং বাম্পার ফলন হবে ইনশাআল্লাহ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ