পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে ষোলোআনা স্বৈরতন্ত্র বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় তাদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। দেশকে বাঁচাতে হলে জনগণের ঐক্যকে গুরুত্ব দিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। তাহলেই আমরা রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব, স্বৈরতন্ত্র থেকে বাঁচতে পারবো। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণসংহতি আন্দোলনের চতুর্থ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অন্যান্য বক্তারা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার দাবিতে সব রাজনৈতিক দলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে রাজপথে নামতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের এ সম্মেলনে সারাদেশে ৫০টিরও বেশি জেলার প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন। প্রেস ক্লাবে সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে নেতাকর্মীদের একটি মিছিল মৎস্যভবন মোড় ঘুরে আবার প্রেস ক্লাবের দিকে যায়।
সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, সবাই দেশে বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায়, তারা কোনোভাবেই জনগণের আস্থাভাজন নয়, জনগণের কাছ তারা থেকে দায়িত্ব পায়নি। কিন্তু তারা ক্ষমতা প্রয়োগ করে যাচ্ছে।
জেলায়-জেলায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। এখন মাঠে নামলেই বিজয় আসবে। আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করে দেখিয়েছি, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো শক্তিই বিজয় ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। ঐক্যবদ্ধভাবে এবারও আমরা রাস্তায় নামলে বিজয় আসবেই।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নৌকা ডুবে গেছে। আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে। তাই বলতে চাই, আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। রাজপথ দখল করতে হবে। আমরা সবাই যদি একসঙ্গে রাস্তায় নামি, তাহলে বিজয় আসবেই। আমরা যদি রাজপথ দখল করি, আগামী এক বছরের মধ্যে সরকার ক্ষমতা থেকে বিদায় হবে। আমাদের হাতে দুই বছর সময় আছে, জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেন, কাল মার্ক্সকে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আপনার জীবনের সুখ কি? তিনি বলেছিলেন, আমার সুখ হচ্ছে লড়াই করা। আপনারা লড়াই করে গণসংহতি আন্দোলনকে দাঁড় করিয়েছেন। এ লড়াইটাকে আপনারা সুখ-আনন্দ হিসেবে পরিকল্পনা করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা গণমানুষের রাজনৈতিক দল। গণমানুষের স্বার্থের বাইরে কোনো স্বার্থ নেই আমাদের। সমস্ত মজলুমের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা লড়াই করি। ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে সাকি বলেন, এ দেশের মানুষ আর বিনা ভোটের নির্বাচন হতে দেবে না। আপনারা যতই নীল নকশা করুন না কেন। আমি সব রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই-আমরা হয়তো সবাই এক মঞ্চে উঠতে পারব না।
গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের নেতা ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আক্তার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম, জুলহাস নাঈম বাবু প্রমূখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।