Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কালকিনিতে আওয়ামীলীগ অফিস ভাঙ্গচুর: স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে হামলা

ভাঙ্গচুরের ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা সহ আহত -৭

মাদারীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৩৩ পিএম | আপডেট : ৭:৩৭ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২১

কালকিনিতে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতার বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙ্চুর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়িঘরের হামলা ভা্চংুর ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায় দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল আলম মৃধা বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর চরফতে বাহাদুরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একটি নির্বাচনী পথসভার আয়োজন করে। সভাস্থল থেকে মাত্র এক শ’ মিটার দক্ষিণে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল হক মালের বাড়ী থাকায় হঠাৎ উত্তেজিত জনতা সভাস্থল থেকে শ্লোগানসহ তার বাড়ীতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল আলম মৃধা নিজে ও তার দুই সন্তান কয়েক শ’ কর্মী-সমর্থকসহ হামলায় অংশ নেয়।
এসময় বিক্ষুদ্ধদের হামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর বড় ভাই বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ (৬৭), বোন মুর্শীদা বেগম (৫৫), ছোট বোন শিশির আক্তার (৪৮), ছোট ভাই মনির মাল (৩০), চাচাতো ভাই রোমান মাল (২২) ও ফরহাদ মাল (৪০)সহ ৭ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহতদের কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার সুস্থ্য তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবী করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হল মাল।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল হক মাল জানান, ‘আমার বাড়ীতে এসে আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রাথী সিরাজুল আলম মৃধা, তার দুই ছেলে সিফাত মৃধা ও মিঠু মৃধা সাথে অন্যান্য লোকজন মিলে হামলা চালায়। হামলায় আমার ভাই-বোনসহ অনেকে গুরুতর আহত হয়েছে। এর আগেও তার কর্মী বাহিনী আমাদের উপর হামলা করেছে। সে বিষয় কালকিনি থানা ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে অবহিত করেছি। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে। আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ উর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামানা করি।’
অভিযোগের বিষয় আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল আলম মৃধা বলেন, ‘আমরা মিছিল নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়ীর সামনে গিয়ে স্কুল মাঠে যাচ্ছিলাম। এসময় তার লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। আমরা তাদের উপর কোন হামলা বা কাউকে মারধর করেনি। নৌকার জয় হবে, এটা তার সহ্য হচ্ছে না। আমি তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধায় আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও তার নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাহীদ পারভেজ। শুক্রবার সকালে আলীনগর ইউনিয়ন কমিটির দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাহীদ পারভেজ লিখিত বক্তব্যে বলেন, সন্ধা ৭টায় আমার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও আমার নেতা-কর্মীদের উপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমান মিলনের প্রায় শতাধীক সর্মকরা হামলা চালায়। আমার নির্বাচনী অফিস, ব্যানারসহ চেয়ার ভাংচুর করেন হামলাকারীরা। এসময় তাদের হামলায় আমার বেশ কিছু নেতা-কর্মীরা আহত হয়। আমি এ সস্ত্রাসী হামলার ঘটনার কঠোর প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তি চাই ।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আসফাক রাসেল জানান, ‘ঘটনার পর দ্রুত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্যে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা আছে। এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থী লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে ক্ষতিগ্রস্থপক্ষ কেউ এজাহার দিলে মামলা নিবো বলে শুক্রবার সন্ধায় জানান।
a



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ