Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোশত নিয়ে মারামারি : বিয়েটাই ভেঙে গেল

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৫৩ এএম | আপডেট : ১০:৩৭ এএম, ২৬ অক্টোবর, ২০২১

বিয়ের উৎসবে খাওয়া হলো একটা প্রধান অংশ। আর বর পক্ষের লোকজনকে খাওয়ানোর সময় ঘটে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। জানা যায়, ভাত না খেয়ে কেবল মাংস চাচ্ছিল বরপক্ষের লোকজন। তা নিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হয় শুরু সংঘর্ষ। মাংস বেশি চাওয়াকে কেন্দ্র করে বর পক্ষের ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে কনে পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ দশমীতে গত রোববার (২৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় আহত তিন জনকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সে ঘটনার পর রাতে বিয়ে বিচ্ছেদ হয় ওই দম্পতির। তবে তা জানাজানি হয় সোমবার (২৫ অক্টোবর)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান জানান, গত ২ বছর আগে দশমী গ্রামের রহিম আলীর সৌদি প্রবাসী ছেলে সবুজ আলীর সঙ্গে একই গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে সুমি খাতুনের বিয়ে হয় মুঠোফোনে। বিয়ের পর সুমি বাবার বাড়িতেই থাকতেন।

সম্প্রতি বর সবুজ দেশে ফেরেন। গত রোববার আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে তুলে নেয়ার কথা ছিল। দুপুর পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। বিপত্তি বাধে খাবার সরবরাহের সময়। শেষ মুহূর্তে বরপক্ষের লোকজন আরও গোশত চাইলে তা নিয়ে দুই পক্ষের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।

বরপক্ষের লোকজন অভিযোগ করেন, গোশত চাওয়ায় তাদের ওপর লাঠি নিয়ে চড়াও হন কনেপক্ষ। এতে আহত হন তিনজন। আহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের আলমগীর আলী ছেলে শাহ জামাল (২৮), একই এলাকার মৃত গোলাম রাব্বানীর ছেলে ফারুক হোসেন (৩৫) ও আব্দুর রহিমের ছেলে আসমান আলী (৩৫)। আহতদের মধ্যে ফারুক ও আসমান প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও ভর্তি রাখা হয় শাহ জামালকে। পরে তাকে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসকরা। পরে রোববার রাতে দুই পক্ষের সমঝোতায় ভিত্তিতে বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়।



 

Show all comments
  • Rofi Ahmed ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৪৯ পিএম says : 0
    একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে। এই রকম অসামাজিক পরিবারে বউ হয়ে গেলে শান্তি থাকতোনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Aliva Muna ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৫০ পিএম says : 0
    আর আমার তো মিস্টি জন্য বিয়ে ভেঙে যাওয়ার অবস্থা হয়ে গিয়েছিল আমরাই কিছু আনতে মানা করেছিলাম তাই ছেলেপক্ষ মিষ্টি কম নিয়ে আসছিল তার জন্য আমাদের ফ্যামিলির লোকজন যে রকম খারাপ আচরণ করেছে ছেলেপক্ষ ভালো দেখে বিয়ে ভেঙে দেয় নাই না হলে আমারও একই রকম অবস্থা হতো
    Total Reply(0) Reply
  • Md shoriful islam ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৫১ পিএম says : 0
    ইসলামের আদর্শ না থাকলে এরকম হবে এঠাই সাভাবিক
    Total Reply(0) Reply
  • Mehedi Hasan ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৫২ পিএম says : 0
    ইসলাম বলে যে পাত্রী পক্ষের লোকদেরকে বেশি সমাদর করতে হয়, তাদেরকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর নিয়ম বিয়েতে। আর বাংলাদেশে তার উল্টোটা হয়! এদেশের বরপক্ষগুলো থাকে সবথেকে নির্লজ্জ হয়ে থাকে। কনের বাড়িতে গিয়ে নাক ডুবিয়ে খায় তো খায় আবার খাবার কম হলে মারামারি ও লাগায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Miraz Miraz ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:৫৬ পিএম says : 0
    এরা কি মাংস জীবনে কখনো খায় নাই
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ