রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কার্পেটিং উঠে গিয়ে নানা স্থানে গর্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মানিকগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম জনপদ বেউথা আন্ধারমানিক সড়কটি। স্কুল, মাদরাসা ও বাজারগামী সহস্রাধিক মানুষ প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এলাকাবাসী জানান, সড়কটি কোথাও কোথাও দুই-তিন ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া পুরু সড়কটিতে বৃষ্টির পানি জমে কাদায় একাকার হয়ে গেছে।
এমতাবস্তায় ওই জলাবদ্ধতার পানি ও কাদামাখা সড়কটি দিয়েই শত শত যানবাহন চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যার ফলে বেহাল এই সড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা, সেই সাথে বাড়ছে ঝুঁঁকি। স্থানীয় মানুষ বাধ্য হয়েই চলছে ঝুঁঁকিপূর্ণ এ সড়কে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেউথা আন্ধারমানিক সড়কের এক কিলোমিটার রাস্তার পিচ ঢালাই উঠে গেছে, খাল বাকলা উঠে বিশালাকার গর্ত ও খানাখান্দে বৃষ্টির পানিতে জমেছে। কিছু কিছু গর্ত ১০ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত হওয়ায় হাটু পানিতে ভিজেই পাড় হতে হচ্ছে পথচারীদের। ভাঙা সড়কের পুরো অংশ ব্যবহার করতে না পাড়ায় শহরের ব্যস্ততম এ সড়কে সারাদিন লেগে থাকে যানজট। প্রতি নিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে এলজিইডির নির্মিত এ সড়ক ভারি যান চলাচলের কারণে ভেঙে ২ বছর আগেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরে সড়ক ও জনপদের অধিনে সংস্কার হওয়ার কথা থাকলেও নতুন করে আর কাজ করা হয়নি। স্থানীয় একটি বেসরকারি হাই স্কুলের শিক্ষক আনোয়ার হোনের বলেন, বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে গিয়ে কাঁদামাটিতে একাকার হয়ে যায়। সড়কের প্রচন্ড খারাপ অবস্থা। অটোবাইক চালক আশিক জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে ভাঙন ও বড় বড় গর্তে মিনিট্রাক ও সিএনজি উল্টে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। গতকালও সিলিন্ডার বহনকারী একটি মিনিট্রাক উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। একটু বেকায়দায় পড়লেই আর রক্ষা নেই এই সড়কে।
এ বিষয়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আবু মোহাম্মদ নাহিদ জানান, বেহাল এ সড়কে পৌরসভার তহবিল থেকে রাভিস ফেলে সংস্কার করেছি, রোলার দিয়ে সমতল করছি, বৃষ্টি আসলেই তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বসতির তুলনায় সড়ক নিচু হওয়ায় ও পানি নিস্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের এ হাল হয়েছে। সড়ক ও জনপদের অধিনস্ত এ সড়কটি দ্রুত পুনঃনির্মাণের বিষয়ে আমরা সব সময় তাগিদ দিচ্ছি। এক মাস আগেও পৌর সভার প্রধান প্রকৌশলীসহ উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এ সড়কের স্টিমেট প্রকল্প আকারে সওজের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র মো. রমজান আলী জানান, প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মহাসড়কের আদলে এই সড়কটি ড্রেনেজ ও লাইটিংসহ মানসম্পন্ন সড়ক ব্যবস্থা করতে আগ্রহী মানিকগঞ্জ পৌরসভা। সড়কটি নির্মাণ কাজ করার কথা সড়ক ও জনপদের। তাদের সাথে আলোচনা চলছে। সড়কটি আধুনিকায়ন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।