Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খাগড়াছড়িতে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের লাশ ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা : খাগড়াছড়িতে যৌথবাহিনী ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বন্দুকযুদ্ধ হয়।
এ ঘটনায় আজ শনিবার ভোর রাতে নিহতের লাশ ও ৩৮ রাউন্ড গুলিসহ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি এম-১৬ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে। এতে তিনটি ভারী আগ্নেয়াস্ত্র, শতাধিক গুলিসহ বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, ১৯ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি জি-৩ রাইফেল, একটি জি-৩ রাইফেলের ম্যাগাজিন, ৪৯ রাউন্ড গুলিসহ একটি চাইনিজ সাব মেশিনগান, একটি চাইনিজ সাব মেশিনগানের ম্যাগাজিন, ৩৮ রাউন্ড গুলিসহ একটি এম-১৬ রাইফেল, এম-১৬ রাইফেলের একটি ম্যাগাজিন, একটি ওয়াকিটকি সেট, একটি মোবাইল, একটি ব্যাগ উদ্ধার করে।

তবে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা গণমাধ্যমকে তাদের সংগঠনের সঙ্গে এ ধরনের কোনো সংঘর্ষের খবর অস্বীকার করেছেন। খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার একটি দল দাতকুপিয়া এবং ভুয়াছড়ি এলাকার মধ্যবর্তী স্থান কুতুকছড়িতে ইউপিডিএফের ১৫-২০ সদস্যের একটি গ্রুপ গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মহালছড়ি জোনের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করলে যৌথবাহিনীও গুলি ছুড়ে পাল্টা জবাব দেয়। এক পর্যায়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি অন্ধকার পাহাড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ইউপিডিএফের এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় যৌথবাহিনীর গুলিতে আরও এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ