বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
জাতীয়তাবাদ মুক্তির অবলম্বন না কি যুদ্ধের উৎস সে প্রশ্ন আজ নতুন করে বিবেচনার পুরোভাগে এসেছে। একটা সময় গেছে যখন জাতীয়তাবাদ গণমুক্তির উদ্দীপনার একটি তাৎপর্যপূর্ণ রূপক হয়ে উঠেছিল যখন মধ্যযুগীয় ইউরোপে চার্চের অত্যাচারে সমাজ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। চার্চের নৈরাজ্যকর ফতোয়া জীবনকে বিপর্যস্ত করেছিল সে সময়। মানুষের মুক্তির অন্বীষ্ট হয়েছিল তখন জাতীয়তাবাদ। জাতীয়তাবাদ তখন আবির্ভূত হয়েছিল একটি সেক্যুলার ইউনিট হিসেবে। জাতীয়তাবাদ নৈরাজ্যকর ফতোয়াবাজির বিরুদ্ধে একটি প্রায়োগিক সমাধান যা জীবনকে জীবনযোগ্য করে তুলতে পারে। জাতীয়তাবাদ সেদিন একটি দর্শনকে ধারণ করেছিল। সেটি ছিল এই যে মানুষের জীবন মানুষী সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রাত্যহিকের যা কিছু তা মানুষ তার প্রসঙ্গে নিজেরাই যেমন বিবেচনা ও বিশ্লেষণ করবে তেমনি স্থির করবে কোনটা কখন কেন করণীয়। পার্থিব জীবন এবং অপার্থিব বোধের মধ্যে একটি নির্দিষ্টতার রেখাচিহ্ন সর্বোতভাবে অঙ্কিত ও গৃহীত হয়েছিল। এইভাবে জাতীয়তাবাদ হয়ে উঠেছিল একন্তভাবেই মানুষী মুক্তির বিষয়। এটি ছিল এক ইতিবাচক প্রগতির বিষয় যখন ধর্ম অস্বীকৃত হয়নি। কিন্তু ধর্মকেন্দ্রিক ক্ষমতার অন্ধ প্রয়োগের বিষয়টি পরিত্যক্ত হয়েছিল। জাতীয়তাবাদের অন্তঃশীলে ধর্মের শান্ত ও প্রশান্ত বিরাজ ছিল অবারিত। দ্বাদশ শতক থেকে পঞ্চদশ শতক অবধি ছবিটি ছিল এ রকমই। ইতিবাচক ও গণউত্তরণমুখী। গণউত্তরণমুখী এই জন্যে যে তা গণজীবনে মানুষী প্রশাসনের সুযোগ করে দিয়েছিল। কিন্তু তখনও গণতন্ত্রের ভোর ফোটেনি। মানুষের প্রশাসন-প্রতিনিধি হয়েছিল রাজা। যেহেতু, মানুষ তিনি, তাকে গ্রহণ করা হয়েছিল শাসক হিসেবে। দৈবের বিপরীতে রাজাকে গ্রহণ করা হয়েছিল সাধারণ্যে। এটি ছিল পরিপ্রেক্ষিত ও পরিস্থিতিগত সাধারণ বাধ্যতা। কারণ, তখন সামাজিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক কোন এলাকায় গণতন্ত্র ও রাজতন্ত্রের দ্বৈত স্পষ্ট ছিল না। এ দ্বৈত স্পষ্ট হবার জন্য পৃথিবীকে ফরাসী বিপ্লব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
যাই হোক, ঐ ইতিবাচক গণউদ্ধার ধারার পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী সেক্যুলার রাষ্ট্রের জন্যে বিধাতার বিকল্প একটি শক্তির সন্ধান চলেছে কয়েক শতক ধরে যার নাম সার্বভৌমত্ব। একটি কল্পিত সর্বেসর্বা। একটি প্রশ্নাতীত কর্তৃপক্ষ যা অদৃশ্য হয়েও প্রায়োগিক বলে স্বীকৃত। দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতক অবধি চলেছে এর সন্ধান। দার্শনিক হবস থেকে জিন বডিন পর্যন্ত চলেছে এর তাত্ত্বিক নির্মাণ প্রচেষ্টা অব্যাহতভাবে। এটি ছিল রাষ্ট্র এবং জাতীয়তাবাদের আদর্শায়নের একটি কাল। এই ব্যস্ততায় ও নিবেদিতপ্রাণতায় এমনটা ভাবার অবসরই হয়নি যে এর বাইরে বিস্তৃততর আরো কোন আয়তন ও আয়োজন মানুষের পক্ষে অর্জন ও নির্মাণ করা সম্ভব। ভাবনার ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্বের এই সর্বৈবতা গণমানুষকে তথা মানুষকে জাতীয়তাবাদ সর্বস্ব ও সার্বভৌমত্ব সর্বস্ব মাত্রায় অবরুদ্ধ করেছে। মানুষের আত্মআবিষ্কার এর বাইরে বিস্তৃত হতে পারেনি। এ সময়টায় সমষ্টি মানুষের মুক্তির সমস্ত আয়োজন ও সংগ্রামে জাতীয়তাবাদের পতাকাই হয়েছে ঐ আয়োজন ও সংগ্রামের একক রূপক। মোক্ষ রূপক। সেই সঙ্গে ভাবা হয়েছে মানুষের জন্যে শেষ এবং একান্ত আশ্রয় জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তার জন্যে জীবন বাজি রাখার সংকল্প। তার রক্ষা ও প্রতিরক্ষার জন্যে নির্মিত হয়েছে সেনাবাহিনী। যেন অন্যেরা বন্য। যেন আমার জাতিই প্রথম এবং আমার জাতিই শেষ কথা। যেন অন্যেরা অবান্তর। ত্যাগযোগ্য। পরিত্যাজ্য। দমনযোগ্য। এলিয়েন। এভাবে এক সময় জাতীয়তাবাদ ভুল হাতে পড়ে হয়ে উঠেছে ফ্যাসিবাদ। মুসোলিনীদের উত্থান হয়েছে। মানুষ তার আত্মআবিষ্কারের প্রসঙ্গকে ঘিরে বিপর্যস্ত ও নিগৃহীত হয়েছে জাতীয়তাবাদের ঘূর্ণচক্রে। জাতিতে জাতিতে সংঘাত হয়েছে ঘুরে ফিরে বার বার। বোঝাই যায়নি এর ভেতরে ভুল কিছু আছে কি না। এর বাইরে বিকল্প কিছু আছে কি না। অস্ত্র প্রতিযোগিতার অজ¯্রতার সমাহার এনেছে দেশে দেশে। রাষ্ট্রকে ঘিরে শক্তি ও মর্যাদা সমার্থক বিবেচিত হয়েছে। যে মুক্তিঅর্চনা থেকে জাতীয়তাবাদ ও জাতীয় রাষ্ট্রের আদর্শায়ন হয়েছে এক দিন তাই হয়ে উঠেছে শক্তি ও মর্যাদার অহঙ্কারের উজ্জ্বলতম মঞ্চ। তাই হয়ে উঠেছে মানুষ দমনের ও মানুষ নিপীড়নের হাতিয়ার। বর্তমানের আমেরিকান রিপাবলিকানরা তা জোরেশোরে বলছেও। তারা বলছে আমেরিকার মর্যাদা তার যুদ্ধ ক্ষমতায়। যুদ্ধক্ষমতা ছাড়া আমেরিকার রাষ্ট্র অস্তিত্ব অর্থহীন। এভাবে জাতীয়তাবাদ ও জাতীয় রাষ্ট্র হয়ে উঠেছে যুদ্ধ বিষয়ক বাস্তব। সংঘাত বিষয়ক বাস্তব। অন্যকে দমন বিষয়ক বাস্তব। ভয় দেখানোর ও ভয় পাবার বাস্তব। একটি ভয়ঙ্কর বাস্তব।
বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিশ্বেও উপনিবেশে উপনিবেশে জাতীয়তাবাদই হয়েছে স্বাধীনতার রূপক। সা¤্রাজ্যবাদের বিপরীত বাস্তব যার ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতা পেয়ে উপনিবেশগুলো হয়েছে একেকটি জাতি রাষ্ট্র। ভাবা হয়েছে এই-ই স্বাধীনতা। সা¤্রাজ্যবাদীরাও নতুন প্রেক্ষিতে ইন্ধন জুগিয়েছে জাতীয়তাবাদী ধারণার সমর্থনে। পুঁজিবাদী/সা¤্রাজ্যবাদী বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে লিখিয়েছে অনেক তত্ত্ব কথা। তারা জওহর লাল নেহেরুকে দিয়ে তৈরি করেছে ন্যাম-ননএলাইন মুভমেন্টের মত আন্দোলন যা জাতীয়তাবাদকে দিয়ে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের মত বিশ্বমুখী আন্দোলনকে প্রতিহত করবে। সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনই প্রথম যা বিশ্বে জাতীয়তাবাদ উত্তর একটি স্বপ্ন দেখিয়েছিল পৃথিবীকে। এটি অতিকাল্পনিক হয়েছিল যদিও বা। তার কারণ এটি সমাজের সাংস্কৃতিক প্রস্তুতির আগেই আদর্শকে প্রতিষ্ঠা দিতে চেয়েছিল। মানুষের চেতনার দুয়ার দিয়ে প্রবেশ না করে এটি রাজনীতির দুয়ার দিয়ে আদর্শ প্রতিষ্ঠার পথ খুঁজেছিল। সমাজতন্ত্রীরা বুঝতে পারেনি যে সাংস্কৃতিক প্রস্তুতির বাইরে সমাজ পরিবর্তনের কোন শর্টকার্ট নেই। যাই হোক, বিশ্বযুদ্ধোত্তর পর্বে ধারণা রাজনীতিরও স্বীকার হয়েছে জাতীয়তাবাদ। এই ধারণা রাজনীতির ইন্ধন এসেছে পুঁজিবাদীদের কাছ থেকে। একটি বড়মাপের রাজনৈতিক সাহিত্য সম্ভার এসেছে এর মাধ্যমে যার প্রভাব দেশে দেশে এখনো গভীরভাবে বিরাজিত।
তারপর এসেছে ইতিহাসের আর এক অনন্য সাধারণ ঘটনা- আরব বসন্ত যা প্রথমবারের মত রাষ্ট্রকে প্রতিপন্ন করেছে গণকারাগারে। রাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ যার দায় গণমানুষের পাশে দাঁড়ানো সেই কর্তৃপক্ষ গণমানুষের ওপরে বোমাবর্ষণ করেছে। লিবিয়ায়, মিশরে এমন ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রের গণকারাগার হবার সবচেয়ে শেষ এবং সবচেয়ে বর্বর উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে সিরিয়ায় আল আসাদের নিষ্ঠুর নেতৃত্বে যেখানে রাষ্ট্রের লক্ষ লক্ষ নাগরিকের মৃত্যু ঘটছে সরকারের নৃশংস আঘাতে। একই পৃথিবীতে একই সঙ্গে মুক্তির রূপক হয়ে আছে জাতীয়তাবাদ। যেমন ফিলিস্তিনে। যেমন কাশ্মীরে। জাতীয়তাবাদের এ পাশ ব্যাপী, জাতীয়তাবাদের ভেতর-বাহিরব্যাপী কেবল রক্তক্ষরণের ইতিহাস প্রবাহিত হয়ে চলেছে। জাতীয়তাবাদকে ঘিরে ঘটমান রয়েছে অন্তর যুদ্ধ ও বহির্যুদ্ধ। পৃথিবীর ইতিহাসে জাতীয়তাবাদেও সবচেয়ে ভয়াবহ, বিস্তৃত ও বিশ্ব নাড়ানো যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ইউরোপকে কেন্দ্র করে যা বিশ্বযুদ্ধ বলে পরিচিত হয়ে আছে আজও। আজ এটি স্পষ্টভাবে বিদিত যে দুটো বিশ্বযুদ্ধের প্রত্যক্ষ কার্যকারণ ছিল জাতীয়তাবাদ এর অর্থনৈতিক বা দার্শনিক ব্যাখ্যা যাই থাক। যুদ্ধের প্রায় সর্বৈব ও বিশাল ক্ষতির রূপ ইউরোপে এই জাগৃতি সৃষ্টি করেছিল যে জাতীয়তাবাদের অন্য নাম যুদ্ধ ও শেষ বিশ্লেষণে ধ্বংস। এ কথা অস্বীকার করা যাবে না যে বর্তমান ইউরোপই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিবৃত্তির অধিষ্ঠান ক্ষেত্র মহাদেশ। ইউরোপই প্রথম উপলদ্ধি করেছিল যুদ্ধ নয় আলোচনাই কেবল মানুষী জীবনের সকল সঙ্কট উৎরানো যায়। অষ্টাদশ শতকে ওয়েস্ট ফালিয়া চুক্তির ভেতর দিয়েই ইউরোপীয় এই উপলব্ধির প্রকাশ ঘটেছিল। অথচ বিস্ময়কর যে ইউরোপই দুটো বিশ্বযুদ্ধ করেছে ওয়েস্ট ফালিয়া চুক্তির কাল পেরিয়ে আর একটি নতুন কালে।
আরো একটি বড় বিস্ময় যে বিশ্বের জন্যে অপেক্ষা করবে তা ভাবা যায়নি। সেও এই জাতীয়তাবাদ নিয়ে। বিশ্বযুদ্ধ উত্তরকালে ইউরোপে এই উপলব্ধি বিস্তার লাভ করেছিল যে জাতীয়তাবাদ মানে যুদ্ধ অথবা যুদ্ধের সম্ভাব্যতা। ১৯৫২ সালে ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরোপে জাতীয়তাবাদের সমাধি রচনা করে পুরো ইউরোপজুড়ে একটি প্রস্তাব সারা ইউরোপে ফেরি করেছিলেন আর একই উপলব্ধিতে আলোড়িত সারা ইউরোপ সে প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল গভীর উদ্দীপনার সাথে। তাদের সবার কাছে এটি প্রতিপন্ন হয়েছিল যে জাতীয়তাবাদ শেষ বিশ্লেষণে যুদ্ধ বৈ কিছু নয়। আর যুদ্ধ মানে ধ্বংস। কোন মুক্তি ও উত্তরণের সম্ভাবনা যুদ্ধে থাকে না। এই উপলব্ধির ফলশ্রুতি হয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন উত্তরোত্তর বিকশিত হয়েছে। পৌঁছে গেছে ইউরোর মত ইউরোপের জন্যে একটি মুদ্রা প্রচলন পর্যন্ত। এই উপমহাদেশীয় সংগঠনের সংহতি রূপকে আদৃত ও পুরস্কৃত করেছে নোবেল কমিটি নোবেল পুরস্কার দিয়ে।
কিন্তু সম্প্রতি ইউরোপে জাতীয়তাবাদের নতুন ধুয়া উঠেছে যা এই সংগঠনটিকে ভাংতে চায়। নির্মূল করতে চায়। এ এক নতুন বিভ্রান্তি অথবা জিজ্ঞাসা সমস্ত সভ্যতার কাছে। এ জিজ্ঞাসা আমাদের সকলের ভাবনার দাবি রাখে যারা পৃথিবীতে বাস করতে চাই। এ সত্যি সত্যি কিসের ইঙ্গিত আমাদের অত্যন্ত যতেœর সাথে ভাবতে হবে। আমার ক্ষুদ্র মেধায় যা এই মুহূর্তে মনে আসছে তা সকলের সঙ্গে ভাগ করবার জন্যে বলি। দর্শনে সাথে বস্তু প্রেক্ষাপটের দূরত্বকে দূরদর্শিভাবে সমন্বিত করতে না পারলে দার্শনিক অর্জনগুলো নতুন কালে অর্থহীন হয়ে পড়ে। এ জন্য যেমন চাই সামগ্রিকতার বোধ তেমনি সহানুভূতির গাঢ় সিক্ততা। মানুষী জীবনে দূরদর্শী সমন্বয়ের কোন বিকল্প নেই। সমন্বয় ও সংহতিই কেবল মানুষী জীবন ও মানব সভ্যতাকে যথার্থভাবে চরিতার্থ করতে পারে। আড়াই হাজার বছর আগে মহাজ্ঞানী এরিস্টোটল তার বিপ্লব তত্ত্বে জানিয়ে গেছেন যে বঞ্চিতের ভেতর থেকে বিপ্লব উৎসারিত হয় কোন কাঠামোর সামগ্রিকে বঞ্চিত কেউ হচ্ছে কিনা তা জানা ও তার সমাধান না করতে পারলে উত্তরণ দর্শনও বিদীর্ণ হয়ে যায়। মানুষী জীবনে ত্যাগ ও উদারতার কোন বিকল্প নেই। বিশেষত, বস্তু মাত্রার ক্ষেত্রে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংহতি প্রচেষ্টা সঙ্গত ও শুদ্ধ ছিল। শুদ্ধ এর ব্যবস্থাপনায় দূরদর্শিতা-সহমর্মিতা ঘাটতি ঘটেছে বলে এমন হতে চলেছে। এ কথা ভুলে যাওয়া চলবে না যে প্রযুক্তির অগ্রগতি আর জাতীয়তাবাদ এক সঙ্গে চললে চলার অন্ত হবে ধ্বংস যা দুটো বিশ্বযুদ্ধের চাইতে বহুগুণে হবে ভয়াবহ।
লেখক : প্রাক্তন সভাপতি, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।