Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নগরজীবনে চরম ভোগান্তি

রাজপথে তীব্র যানজট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৫ এএম

সারাদেশে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় রাজধানীর রাজপথের চেহারাও আগের অবস্থায় ফিরেছে। গত পনের বিশদিন যাবত নাগরবাসী রাজধানীকে চিরচেনা রূপে দেখছেন। রাজধানীর প্রায় প্রতিটি প্রধান সড়কই যানবাহনে ঠাসা। তীব্র যানজটে গতকালও রাজধানীবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। মিরপুর রোড, বিমানবন্দর সড়ক, বিজয় সরণি, তাজউদ্দীন সড়ক, পল্টন, গুলিস্তান মৌচাক, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়িসহ রাজধানী জুড়ে ছিল তীব্র যানজট। অনেক স্থানে ফ্লাইওভারের ওপরও যানজট ছড়িয়ে পড়ে। আধঘণ্টার পথ চলতে নগরবাসীকে ব্যয় করতে হয় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। অনেকে অবস্থা বেগতিক দেখে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হন।
গতকাল সকাল ৮টা থেকেই রাজপথে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। বেলা যত বাড়ে সড়কগুলোতে যানজটও বেড়ে যায়। বিকেলে ঘরমুখো মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অফিস ফেরত নারী ও স্কুল ফেরত শিশুদের ভোগান্তি ছিল উদ্বেগজনক। বিপণিবিতান সমৃদ্ধ এলাকাগুলোর চিত্র ছিল ভয়াবহ। রাজধানীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এলাকায় মেট্রোরেলের কাজের কারণে সড়কটি এমনিতেই সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে সড়কটিতে যানবাহন দ্রুত চলতে পারেনা। বড় বিপণিবিতানগুলোর আশপাশেও ছড়িয়ে পড়ে যানজট। সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় রাজপথে ছিল বাড়তি যানবাহনের চাপ। মিরপুর রোড, পান্থপথ, মতিঝিল এলাকায় ছিল নাজুক অবস্থা। পল্টন মোড় থেকে আশপাশের প্রতিটি সড়কে ছিল যানজটের ভয়াবহ চিত্র। মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের হাতিরঝিল পয়েন্ট থেকে শুরু করে কারওয়ান বাজার ও তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত প্রায় পুরো ফ্লাইওভার ছিল যানবাহনে ঠাসা।
সাতরাস্তা থেকে মহাখালী পর্যন্ত সড়কে যানবাহন চলেছে ধীরে ধীরে। আর কাকরাইল থেকে রামপুরা পর্যন্ত সড়কে ছিল সীমাহীন ভোগান্তি। পুরান ঢাকার অলিগলিতে রিকশা-ভ্যানের জট পাকিয়ে অবর্ণনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়। অনেক সিগন্যালে চতুর্মুখী যানজট লেগে যাওয়ায় ট্রাফিক সদস্যদের অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়।
সপ্তাহের প্রথম পূর্ণ কর্মদিবস থাকায় সকাল থেকেই বিভিন্ন সড়কে যানজটের শুরু হয়। এতে অফিসগামী এবং স্কুলগামী ছেলে মেয়েরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়। অনেকে যানজটের মধ্যে রিকশা বা অন্য যানবাহন ছেড়ে হেঁটেই অফিস বা স্কুলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
সচিবালয়ের এক কর্মচারী শাহীন বাসাবো থেকে টেম্পুতে অফিস যাচ্ছিলেন। শাহজাহানপুরের যানজট পার হতে তার চল্লিশ মিনিট সময় লেগেছে। অফিসের সময় হয়ে গেছে। অবশেষে ফরিকারাপুল মোড়ের জ্যামে টেম্পু থেকে নেমে সচিবালয়ের দিকে হাঁটা শুরু করেন। একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা সাব্বির আহমদ বলেন, অফিসের প্রয়োজনে তাকে রাজাবাজার থেকে পল্টনে যেতে হয়। এটুকু যেতে প্রতিদিনই তার দেড় থেকে দুই ঘন্টা সময় লেগে যায়। বাসা থেকে তাকে সকাল সাতটার আগে বের হতে হয়। একটু দেরী হলে সেদিন আর সময় মতো অফিসে পৌঁছাতে পারেন না। মিরপুরের পল্লবী এলাকার এক ব্যাংক কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তার অফিস বিজয়নগর এলাকায়। মিরপুর থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত সড়কটিতে গত দেড়-দু›বছর ধরে যাটজট লেগেই থাকে। তবে গতকাল সেটা আরও তীব্র ছিল। মিরপুর থেকে অফিসে পৌঁছতে তার প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যানজট

১৯ জানুয়ারি, ২০২৩
৯ জানুয়ারি, ২০২৩
১৯ ডিসেম্বর, ২০২২
২৭ নভেম্বর, ২০২২
২৯ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ