Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

টানা বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

ধান ও আলু নিয়ে ফুলবাড়ীর কৃষকের দুশ্চিন্তা

মো. আবু শহীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৭ এএম

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বেশ কিছু জমিতে ধান, আগাম জাতের আলু, রবি শস্যসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও ঝড় হাওয়ায় ধান গাছ নুয়ে পড়ায় জমিতে জমে থাকা পানিতে ফসল পচে যাওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। দুশ্চিন্তায় পড়েছে এই এলাকার কৃষক। আমনের মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূল আর কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও গত কয়েক দিনের মাঝারী ও গুড়িগুড়ি টানা বর্ষণ আর মৃদু বাতাসে উপজেলার বেশ কিছু মাঠের ধান নুয়ে পড়েছে। আগাম আলুর জমিতে জমে আছে পানি। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
শিবনগর ইউনিয়নের হামিদুল হক বলেন, আগাম জাতের আলু ও ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও মৃদু বাতাসে অধিকাংশ জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে, একই অবস্থা আগাম জাতের আলুর। একইভাবে বেতদিঘী ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল হামিদ, সামিউল ইসলামসহ অনেক কৃষক বলছেন, আসছে শীত মৌসুমে আগাম জাতের রবিশস্য উৎপাদনের আশায় আলুসহ শীতকালীন সবজির মাঠে পানি জমে থাকায় চরম দুশ্চিন্তার দিন কাটছে তাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সারারাত ও বুধবার দিনভর টানা বৃষ্টিতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার বেশ কিছু জমিতে গামর ধান (কচি) ধান গাছ জমির সাথে মিশে গেছে, সেইসাথে আলুর জমিতে জমে আছে পানি। দ্রুত পানি না নামলে এসব জমির আলু ও ধানসহ গামর (কচি) ধান পঁচে যাওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা। এরমধ্যে আরও বৃষ্টি হলে অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর এ উপজেলায় ১৮ হাজার ১৮১ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে, যা লক্ষ্যমাত্রারও অধিক। সম্ভাব্য (চাল) উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার ২০২ মেট্রিকটন। ৫০ হেক্টর জমিতে হয়েছে আগাম আলু চাষ। এবার উফশী জাতের ধান ব্রি-৩৪, ব্রি-৩৯ ব্রি-৫১, ব্রি-৫২, বিনা-১৭, সম্পা কাটারি, স্বার্ণা-৫, গুটিস্বর্ণা, রঞ্জিত, সোনামুখি এবং হাইব্রিট জাতের টিয়া, ধানিগোল্ড, হিরা, এজেড-৭০০৬ জাতের ধান চাষ হয়েছে। তিনি বলেন, একর প্রতি হাইব্রিট ফলন ৪ মেট্রিকটন ও উফশি ২.৭৫ মেট্রিকটন। তবে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও ফসল ঘরে তোলা নিয়ে আশংকা আর দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার জানান, হাইব্রিট ও সোনামুখি আগাম জাতের কিছু ধান কাটা শুরু হয়েছে। বাকি ধানগুলো কার্তিকের শেষ থেকে কাটা শুরু হবে। ফলন যাতে ভাল হয় সেদিক লক্ষ্য রেখে মাঠে নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতির পরিমান জানতে চাইলে বলেন, এটি প্রাকৃতিক ব্যাপার, অল্পকিছু ফসলেন সমস্যা হয়েছে, তবে এ বিষয়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, খুব একটা ক্ষতি হবে না বলেই জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ