বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ট্রেনে কাটা পড়ে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ময়থা উত্তরপাড়া গ্রামের মা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত হয়েছেন ওই নারীর স্বামী ও আরেক ছেলে।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার হাতিলা রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সানসিয়া সুলতানা সারা (২৫) ও তার আড়াই বছরের ছেলে আব্দুর রহমান রাইয়ান। এঘটনায় আহত হয়েছেন সারা'র স্বামী আজগর আলী (৩০) ও তার পাঁচ বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ। তারা জেলার বাসাইল উপজেলার ময়থা উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
সম্প্রতি তারা সদর উপজেলার করটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় নিজস্ব বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, ‘সারামণি ও আজগর আলী তাদের দুই ছেলেকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে হাতিলা এলাকায় মামার বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তারা হাতিলা রেলক্রসিং পাড় হচ্ছিল। এসময় একটি ট্রেন এসে তাদের ধাক্কা দেয়। এঘটনায় সারামণি ও তার ছোট ছেলে আব্দুর রহমান রাইয়ান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আর আহত হন আজগর আলী ও তার বড় ছেলে আব্দুল্লাহ। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর আগারগাঁও নিউরো সাইন্স হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত আব্দুল্লাহ শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
নিহত সারার ভাই জামিলুর রহমান জানান, আজগরের মামার বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে মটর সাইকেল যোগে করটিয়ার বাসায় ফেরার পথে হাতিলা রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই আমার বোন ও শিশু ভাগনে নিহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা আহত ভগ্নিপতি ও বড় ভাগনেকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আজগরকে ঢাকার আগারগাঁও নিউরো সাইন্স হাসপাতালে রেফার্ড করে। ভাগনে আব্দুল্লাহকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাজিব পাল চৌধুরী বলেন, হাসপাতালে দুইজনকে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে আজগর আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর অপর এক শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ’
টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা স্টেশন মাষ্টার সোহেল খান বলেন, ‘কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। শুনেছি ওই ট্রেনে কাটা পড়ে দুইজন মারা গেছে। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছানোর পূর্বে তাদের স্বজনরা লাশ বাড়ি নিয়ে গেছে।
ময়থার মজিবর রহমান মাস্টার জানান, ময়থা উত্তরপাড়া সামাজিক কবরস্থানে লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।