Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে সরকার

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০১ এএম

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘তিস্তা নদীর ভাঙন স্থায়ীভাবে প্রতিরোধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তিস্তায় মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এই প্রকল্পের ডিজাইন ও প্রজেক্ট প্রোফাইল শেষ হয়েছে। এটি অনেক বড় প্রজেক্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। কবে নাগাদ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তিস্তা পারের মানুষের আর দুর্দশা থাকবে না। প্রতিমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের গতিয়াশাম এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় কুড়িগ্রামসহ চারটি জেলায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরকার বন্যার্ত ও ভাঙন কবলিতদের দুর্দশা লাঘবে কাজ করে যাচ্ছে। চারটি জেলার প্রতিটিতে ৫০ মে.টন চাল, ৫ লাখ টাকা, চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, পশুখাদ্যের জন্য আরো ২ লাখ টাকা এবং একশ’ বান্ডিল করে ঢেউটিন বরাদ্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বন্যার্ত ও নদী ভাঙনের শিকার প্রতিটি পরিবারের পুণবার্সনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরে সরিষাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেলসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসীন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলী, রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়াদ্দী বাপ্পি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনীম, ঘড়িয়ালডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার।
আলোচনাসভা শেষে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি চাল, এক কেজি চিড়া এবং আধা কেজি করে ডাল, তেলসহ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
তিস্তা নদীর ভাঙনে রাজারহাটের তিনটি ইউনিয়নে আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০১৭টি পরিবার। ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ৮৬৫টি পরিবার, ছিনাই ইউনিয়নে ১২২টি পরিবার, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ৩০টি পরিবার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ