বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত কুয়াকাটা সৈকত তীব্র স্রোত ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার নামে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সৈকতের প্রধান প্রধান জায়গা ও তীর থেকে ইচ্ছেমতো ভূমিদস্যরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে দীর্ঘদিনধরে। এরফলে সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দযর্তা নষ্ট হচ্ছে। সরকারী বিধিমালা লঙ্ঘন করে বহুদিন ধরে সিনেমা স্টাইলে এসব অবৈধ কার্যক্রম চলছে। কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই না করে যে-যারমতো যখন তখন ড্রেজার লাগিয়ে, আবার কখনো কখনো শ্রমিক দিয়ে সৈকতের তীরেও খনন করে বালু কাটায় ইতিহাস-ঐতিহ্যের সৈকত তার লেভেল হারতে বসেছে ও সৈকতের নান্দনিকনতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভূমিদস্যুদের অবৈধ বালু কাটার ফলে নিচু গর্তে পানি জমতে দেখা গেছে। কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ বিষয়টি নিয়ে কোন ধরনের কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছেন না। ফলে বন্ধ হচ্ছে না সৈকতের বালু কাটা। কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে এখন দেখা যায় এবড়ো থেবড়ো অবস্থা। উঁচু-নিচু বেলাভূমিতে নিরাপদে হাঁটা যায়না। বালুর বস্তা, আবার কংক্রিটের আস্তরণ, কোথাও বালু কাটার স্পটে ছোট ডোবার মতো পানি জমে আছে। যেন অচেনা কোন নদীর তীর। জোয়ারের সময় ওয়াকিং জোন থাকছে না। চীরচেনা সৌন্দর্যমন্ডিত কুয়াকাটা সৈকত মনে হয় না। তাই পর্যটকসহ সচেতন মানুষের আবেদন কুয়াকাটা সৈকত থেকে ফ্রী স্টাইলে বালু কাটা বন্ধ করা হোক। কুয়াকাটা সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষা করা প্রয়োজন।
সৈকতের ফটোগ্রাফার দবির উদ্দিন মাসুদ এ প্রতিনিধিকে বলেন, এভাবে বালু তোলার কারনে বীচের লেভেল উঁচু-নিচু হয়ে গেছে। আগে সমান লেভেল ছিল। হাটা-চলায় কোন রিস্ক ছিলোনা। বর্তমানে পর্যটকরা বেড়াতে এসে আনন্দে দৌড় দিলে খুব রিস্ক হয়ে যায়। এ বছর অনেক পর্যটক হাত-পায়ে প্রচুর আঘাত পেয়েছে। '
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো: বজলুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, দিনদিন অবৈধভাবে সরকারী বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে বালু কাটায় সৈকতের দীর্ঘদিনের সৌন্দর্যতা বিনষ্ট ও অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক সাংবাদিকদের জানায়, অবৈধ বালু কাটা বন্ধ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সৈকতের সৌন্দর্যতা রক্ষার জন্য আইন অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।