পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার গ্রহণের আবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বামপন্থী কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার পৃথক পৃথক বিবৃতিতে সিপিবি সভাপতি মুজহাদিুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানসহ প্রমুখ নেতা মামলার আবেদনের নিন্দা জানান।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ ও লেখকদের নামে মামলা দিয়ে সরকার মুক্তিবুদ্ধি, চিন্তা ও বাকস্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ ও লেখকদের নামে মামলা মুক্তবুদ্ধি, চিন্তা ও বাক স্বাধীনতার ওপর ন্যক্কারজনক ঘটনার শামিল। দেশে যে মুহূর্তে উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির তাণ্ডব চলছে, প্রশাসন দাঙা ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ, সেই মুহূর্তে এ ধরনের ঘটনা সুদূর প্রসারি চক্রন্তের শামিল। এ ধরনের ঘটনা প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মান্ধ অপশক্তিকেই উৎসাহিত করবে। ৬ বছরের পুরনো কোনও লেখাকে কেন্দ্র করে এই মামলা দুরভিসন্ধির শামিল।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, কোনও লেখকের বুদ্ধিবৃত্তিক নিবন্ধ নিয়ে কারও ভিন্নমত থাকতে পারে, সে সম্পর্কে তিনি তার মতামত প্রকাশ করে লিখতেও পারেন। সে পথে না গিয়ে লেখকের বিরুদ্ধে নিবর্তন আইনে হয়রানিমূলক মামলা করা কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ অক্টোবর একটি প্রবন্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীসহ তিন জনের বিরুদ্ধে নালিশি অভিযোগ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।