Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুতি ও চায়না দুয়ারি জালে মাছ ও জলজ প্রাণী নিধন

হুমকির মুখে চলনবিলের জীববৈচিত্র্য

মো. শামিম হোসেন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২১, ১২:১৩ এএম

চলনবিলের খাল ও নদীতে কারেন্ট জালের চেয়ে ভয়াবহ অবৈধ সুতি ও চায়না দুয়ারি দিয়ে মাছ ও জলজ প্রাণী নিধনের কারণে মাছ ও বিভিন্ন জাতের উপকারী প্রাণীর বংশ বিস্তার এবং পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। সরেজমিনে জানা যায়, চলনবিলের অভ্যন্তরীণ আত্রাই, নন্দকুজা, গুমানি, বাঙ্গালা, করতোয়ানদী, বিভিন্ন সড়কের খাল ও বিলে অবৈধ সুতি ও চায়না দুয়ারি জাল পেতে মাছ নিধন উৎসবে মেতে উঠেছে জেলেরা। লোহার রিং-এর সঙ্গে সুক্ষ জালের সমন্বয়ে ৪০-৫০ ফুট দৈর্ঘ্যর বিশেষ চায়না দুয়ারি জালে বিভিন্ন প্রকার মাছ ও কাকড়া, কুচে, শামুকসহ সমস্ত জলজ প্রাণী আটকা পরায় এসব মাছ ও জলজ প্রাণীর বংশ বিস্তার বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার কুন্দইল গ্রামের কৃষক মো. আজিজুর রহমান জানান, মাছ আহরণের অন্যন্য মাধ্যমে ছোট ছোট পোনা মাছ আটকা পরে না। কিন্ত চায়না দুয়ারি জালে ছোট ছোট মাছ ও জলজ প্রাণী আটকা পরার ফলে পোনামাছসহ পরিবেশের উপকারী জলজ প্রাণী যেমন কাকড়া, শামুক, কুচেসহ বিভিন্ন প্রকার উপকারী জলজ প্রাণী নিধণ হচ্ছে।
সরেজমিনে তাড়াশ উপজেলা মাকড়শোন গ্রামের বিলে ও মাধাইনগর ইউনিয়েেন নিমগাছি রাস্তার খালে চায়না দুয়ারির জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়।
এসময় জেলেরা গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে দ্রুত চায়না দুয়ারী জাল তুলে বস্তায় ভরে লুকিয়ে নিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়ে। চলনবিলে অবস্থিত কুন্দইল গুমানি নদীতে সুতি জাল পেতে মাছ নিধনে ব্যস্ত রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. নজরুল ইসলাম জানান, চায়না দুয়ারি ও সুতি জাল মাছ ও জলজ প্রাণীর জন্য হুমকি ও ক্ষতিকর। চলনবিলের খালে ও নদীতে এই জাল পেতে মাছ ধরা মৎসজীবীদের বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করে এখনই বন্ধ করতে হবে। তিনি আরো জানান, ভয়াবহ এই চায়না জালে মাছ জলজ প্রাণীর শিকার বন্ধ না করা হলে মাছ ও বিভিন্ন উপকারী জলজ প্রাণীর বংশ বিস্তার ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে।
তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশগুল আজাদ বলেন, এসব চায়না দুয়ারি জাল ব্যবহারকারীদের ধরতে প্রশাসনের অভিযান চলমান রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ