Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বিলুপ্তির পথে পারকি সৈকতের ঝাউবন!

নুরুল আবছার তালুকদার, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

বন বিভাগের গাফিলতি, সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির অব্যবস্থাপনা ও আটকেপড়া জাহাজ ক্রিস্টাল গোল্ডের কারণে বিলুপ্তের পথে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতের ঝাউবন। সৈকতে আটকেপড়া বিশাল আকৃতির জাহাজ ক্রিস্টাল গোল্ডের কারণে সৈকত এলাকার বালু সরে গিয়ে কাদায় পরিণত হয়। এতে করে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সৈকতের পর্যটকদের। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রায় ৪ বছর আগে জাহাজটি সৈকতে আটকে পড়ে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট করলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
সরেজমিনে পারকি সৈকতে দেখা যায়, আর্কিটেকচারাল পদ্ধতিতে বন বিভাগের লাগানো ঝাউগাছ অনেকটা বিলুপ্ত। যে কয়টা গাছের দেখা মেলে তাও কিছু দিনের মধ্যে বিলুপপ্তের অপেক্ষায় রয়েছে। আটকেপড়া ক্রিস্টাল গোল্ড জাহাজের কারণে সৈকত জুড়ে কাদায় ভরে গেছে। এসময় সৈকতে আগত পর্যটকদের বিশেষ করে শিশুদের বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা যায়।
জানা যায়, আনোয়ারা উপকূলকে রক্ষা করার জন্য বনবিভাগ ১৯৯৩-৯৪ এবং ২০০২ সালে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৮০ হেক্টর জায়গায় ঝাউগাছ লাগায় পারকি ও আশপাশের এলাকায়। গাছগুলো বড় হতে থাকলে আস্তে আস্তে করে স্থানীয়দের কাছে এটি ঝাউবাগান বলে পরিচিতি পেতে শুরু করে। আর্কিটেকচারাল পদ্ধতিতে লাগানো এ গাছ বড় হয়ে উঠলে পরবর্তীতে পারকি পর্যটন এলাকা হিসাবে রূপ লাভ করে। বর্তমানে দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে এ সৈকত। বর্তমান সরকার এটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এতে থাকছে আকর্ষণীয় রিসোর্ট, আবাসিক হোটেল, বিনোদন কেন্দ্র, পুলিশ ফাঁড়িসহ নানা সুযোগ সুবিধা। কিন্তু ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে সৈকত এলাকায় বিশাল আকৃতির জাহাজ ক্রিস্টাল গোল্ড ভেসে আসলে পানির স্রোতে সৈকত থেকে বালি সরে গিয়ে কাঁদায় পরিণত হয়। এতে পর্যটকেরা বিড়ম্বনায় পড়ছে বেশি।
সৈকতে বেড়াতে আসা শারমিন আক্তার বলেন, কাদার কারণে ইচ্ছে মতো ঘুরা বেড়াতে পারছিনা। জামা কাপড়ও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম জানান, সৈকতের উন্নয়নে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির প্রচেষ্ঠায় ৬৩ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে। আটকেপড়া জাহাজের কারণে সৈকতের সৌন্দর্য বিলীন হচ্ছে।
উপকূলীয় বন বিভাগের আনোয়ারা বিট কর্মকর্তা হান্নানুজ্জামান জানান, সৈকতে আটকেপড়া জাহাজের কারণেই বালি সরে গিয়ে ঝাউগাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পর্যটন কর্পোরেশনকে অবগত করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ