রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পাবজি খেলাকে কেন্দ্র করে রাজু (১৩) নামের এক ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হত্যাকারীর বাড়ি ঘেরাও করেছে ভুক্তভোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনতে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর পুলিশের সাথে উত্তেজিত জনতার সংঘর্ষর ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। সিংগাইর উপজেলার সায়েস্তা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহরাইল গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ সাহরাইল গ্রামের কোরাইশির ছেলে আলিফ (১৬) পূর্ব বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রাজু (১৪)কে হত্যা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলিফ কৌশলে রাজুকে সাইকেলযোগে পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের রুপারচর এলাকার কালীগঙ্গা নদীর তীরে কাশবনে নিয়ে যায়। সেখানে রাজুকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত অবস্থায় সেখানে ফেলে আলিফ চলে যায়।
এদিকে, রাজুর পরিবার রাজুকে খুঁজে না পেয়ে রাতে আলিফের বাড়িতে যায়। আলিফকে সাথে নিয়ে রাজুর পরিবার রাজুকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। রাত ৯টার দিকে স্থানীয় কাঁচামালের ব্যবসায়ী নূরু মিয়া রুপারচর বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে গুঙ্গানির শব্দ পায়। সেখানে গিয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় রাজুকে উদ্ধার করে সাহরাইল ইব্রাহিম মেমোরিয়াল মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে রাজু মারা যায়।
রাজুর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাজুর স্বজন এবং এলাকাবাসী গতকাল সকাল ১০টার দিকে আলিফের বাড়ি ঘেরাও করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ সদস্যরা। বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে আলিফকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় আলিফসহ তার পরিবারের তিন সদস্যকে উদ্ধার করে সিংগাইর থানায় নেওয়া হয়েছে। কি কারণে রাজুকে হত্যা করা হয়েছে তা ন করে বলতে পারেনি পুলিশ। তবে, পাবজি গেইম খেলাকে কেন্দ্র করে রাজুর সাথে আলিফের বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, ‘সকালে আলিফের বাড়ি ঘেরাওয়ের খবর পেয়ে আমাদের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। আলিফকে উদ্ধারকালে উত্তেজিত জনতার সাথে আমাদের সদস্যদের সংঘাত বেধে যায়। এতে আমাদের তিনজন সদস্য আহত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।