Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুয়াকাটা সৈকতে উড়ছে ক্ষুদে ব্যাবসায়ীদের নানান রঙের ঘুড়ি

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ৫:৪৬ পিএম

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। বিকেলে ঘুরতে নামলে চোখে পড়ছে রং-বেরঙের নানান ধরনের ঘুড়ি উড়ছে সৈকতের আকাশে। কুয়াকাটা পৌরসভার কম্পিউটার সেন্টার এলাকার বাসিন্দা রনি। বয়স বারো। লেখাপড়ার পাশাপাশি সৈকতে ঘুড়ি বিক্রি করে পরিবারের খরচের জোগান দিচ্ছেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে মেঝ রনি। বাবা মিস্ত্রির কাজ করে। তাতে সংসারের সকল খরচ মিটানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাইতো বাবার সাথে সংসারের দ্বায়িত্ব পালন করতে নেমেছেন সৈকতে ঘুড়ি বিক্রি করতে।

রনি বলেন, কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সে। কুয়াকাটা পৌরসভার তিন নং ওয়ার্ডের রুস্তুম হাওলাদারের দ্বিতীয় সস্তান। বিদ্যালয় খোলা সপ্তাহে এক দিন। তাও আবার মঙ্গলবার। ওই দিন রনি বিদ্যালয়ে যায়। বাকি দিনগুলোতে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুড়ি বিক্রি করে। চিল ঘুড়ি, ড্রাগন ঘুড়ি, ফাইটার ঘুড়ি, বিমান ঘুড়ি, পংখীরাজ ঘুড়ি এবং ফুল ঘুড়ি সহ নানান ধরনের ঘুড়ি বিক্রি করেন সে। সারাদিনে প্রায় দুই হাজার টাকা বিক্রি করে রনি। যার মধ্যে চার থেকে পাঁচ শত টাকা লাভ হয় বলে রনি জানিয়েছে। চিল ঘুড়ি ছোট সাইজ ১২০ টাকা, মাঝারি ১৫০ টাকা এবং বড় সাইজ ২৫০ টাকা বিক্রি করি, ফুল ঘুড়ি ১২০ টাকা, ড্রাগন এবং পংখীরাজ ঘুড়ি ৫০০ টাকা বিক্রি করে। জায় মাল ব্যাবসায়ীরা চাহিদা মোতাবেক ঢাকা চকবাজার থেকে মাল এনে দেন এবং বিক্রি করে তাদের টাকা পরিশোধ করতে হয়। রনির বড় ভাই কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজে স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হতে চান রনি। সৈকতে ব্যাবসা করতে বর্তমানে কোন টাকা না লাগলেও পূর্বে বাৎসরিক দুই হাজার টাকা দিতে হতো ট্যুরিস্ট পুলিশকে। আবার চাইলে দিতে হবে এমনটাই জানিয়েছে রনি। এ চাঁদার হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন এই ক্ষুদে ব্যাবসায়ী।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার জানান, কুয়াকাটা সৈকত এলাকায় স্থানীয় সহ দূর দূরান্ত থেকে এসে অনেক অসহায় ছেলেরা ব্যাবসা করে খাচ্ছে। তিনি আরও জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকে এসব মানুষকে পূনর্বাসনের কোন বাজেট নেই। তবে আমার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এই সকল ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের কাছে কেউ চাঁদা দাবি করেছে এমন অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ