পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনা পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে এলেও উপসর্গে মৃত্যু থামছে না। রাজশাহী ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উপসর্গে মৃত্যু দিন দিন বাড়ায় নতুন আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। আমাদের সংবাদদাতাদের প্রতিবেদন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে টানা দুই দিন করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরো চারজন। গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৪৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সংক্রমণ শনাক্তের হার ০ দশমিক ২০ শতাংশ। নতুন আক্রান্ত তিনজন মহানগরীর এবং একজন জেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে চট্টগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ দুই হাজার ৭৮ জন। সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন এক হাজার ৩১৩ জন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনায় ১ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ৫ জন মারা গেছেন। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে করোনা সংক্রমণে নওগাঁর ১ জন মারা গেছেন। আর করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে পাবনার ৩ জন, রাজশাহীর ১ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১ জন করে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী রয়েছেন। তাদের ৪ জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। এ ছাড়া ৫১-৬০ বছর বয়সী ১ জন এবং ৪১-৫০ বছর বয়সী ১ জন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এ ছাড়া নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ১ জন এবং ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ১ জন করে মারা গেছেন।
এদিকে ১৯২ শয্যার রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গতকাল সকাল ৯ টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৮০ জন। একদিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ৮১। বর্তমানে রাজশাহীর ৪০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৩ জন, নাটোরের ৪ জন, নওগাঁর ৬ জন, পাবনার ১১ জন, কুষ্টিয়ার তিনজন, সিরাজগঞ্জের ১ জন, মেহেরপুরের ১ জন এবং বগুড়ার ১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৩ জন। করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫৫ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ১২ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন। এই এক দিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৩ জন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলায় করোনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন। আক্রান্তের শতকরা হার ৩ দশমিক ৫। খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, মোট ১৪৩ টি নমুনা পরীক্ষায় ৫ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। সর্বশেষ ১৩ অক্টোবর খুলনায় করোনায় একজন মারা যান। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৭৭০ জন মারা গেছেন। শনাক্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৯৩০ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।