পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সারাদেশে ১৮০টির বেশি শুল্ক স্টেশন আছে। এর মধ্যে মাত্র ৩০টির কার্যক্রম চালু আছে। আমদানি-রফতানি কার্যক্রম নেই, অবকাঠামো দুর্বল এমন প্রায় ১৫০টি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসি স্টেশন) বন্ধ করে দিতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এ নিয়ে গত বুধবার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতিসহ (বিকেএমইএ) আমদানি-রফতানিকারক অন্য সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছে এনবিআর। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা ও এনবিআর কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, এনবিআর চেয়ারম্যান সভায় উপস্থিত ছিলেন। তবে এখনই স্টেশনগুলো বন্ধ করার কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ অন্যদের সঙ্গে আলোচনার পর তা চূড়ান্ত করা হবে বলে এনবিআর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সভায় অকার্যকর এলসি স্টেশন বন্ধ নিয়ে ব্যবসায়ীদের কোনো আপত্তি নেই বলে ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছেন। যেসব স্টেশন রাখা হবে, সেগুলোর আবকাঠামোসহ অন্য সুযোগ সুবিধা যাতে আরও বাড়ানো যায় সে অনুরোধ জানানো হয়েছে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে এনবিআরও ইতিবাচক মতামত দিয়েছে বলে জানা গেছে।
সভায় উপস্থিত থাকা বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান বলেন, যে স্টেশনগুলো ইনঅ্যাকটিভ আছে সেগুলো বন্ধ করার ব্যাপারে কথা হয়েছে। ৩০টা রেখে বাকিগুলো বন্ধ করার কথা এনবিআর ভাবছে। তিনি বলেন, আমরা বলেছি ব্যবসায়ীদের সমস্যা নেই। ইনঅ্যাকটিভগুলো বন্ধ করে দিক। তবে যেসব স্টেশন চালু রয়েছে, সেগুলোর সুবিধা বাড়ানো এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যাতে পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি নিশ্চিত করা হয় এবং ব্যবসায়ীদের হয়রানি না করার আহ্বান জানিয়েছি।
রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বাকি বিপুল সংখ্যক স্টেশনে গত কয়েক দশক ধরেই কোনো কার্যক্রম নেই। প্রায় ১৫০টি শুল্ক স্টেশন বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিতে চলতি বছরের শুরুতে কাজ শুরু করেছে এনবিআর। তবে কোন কোন শুল্ক স্টেশন বিলুপ্ত করা হবে তা নিয়ে বাণিজ্য, নৌ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক একাধিক সভাও করেছে এনবিআর। আরো জানা গেছে, গত তিন বছরে কোনো আমদানি-রফতানি হয়নি এমন শুল্ক স্টেশন বিলুপ্ত করতে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি নৌ, বাণিজ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। এতে কাগজে-কলমে থাকা শতাধিক স্টেশন বন্ধে সবার মতামত নেওয়া হয়। এর আগেও ২০১২ সালে অকার্যকর শুল্ক স্টেশন বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এজন্য একটি কমিটিও গঠিত হয়েছিল, পরে সেই উদ্যোগ আর আলোর মুখ দেখেনি। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে ৫০টি শুল্ক স্টেশনকে অকার্যকর ঘোষণা করে এনবিআর। তবে পূর্বানুমতি নিয়ে এসব শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে পণ্য আমদানি-রফতানি করার সুযোগ রাখা হয়। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে কোনো আমদানিকারক ও রফতানিকারক এই সুযোগ নেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।