পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি ক্যাটাগরি) থেকে উত্তরণের পর শুল্ক (বাণিজ্য) সুবিধা আরও ১২ বছর অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। গত বুধবার বিজিএমইএ’র গুলশানের অফিসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলের কাছে এ দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান। এটি ছিল তাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মিরান আলী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে ফারুক হাসান নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূতকে দেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি, শিল্পের চ্যালেঞ্জ, সুযোগ ও সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকারমূলক করণীয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের কল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে শিল্পের অনন্য অর্জনগুলোও তুলে ধরেন। ফারুক হাসান ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের প্রস্তাবিত জিএসপি রেগুলেশনে জিএসপি প্লাসের একটি অন্যতম শর্ত সাত দশমিক চার শতাংশ ন্যূনতম আমদানি সীমা (ইমপোর্টথ্রেশোল্ড) শর্তটি বাদ দেওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ধন্যবাদ জানান। ইইউরি রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলকে তিনি বলেন, পদক্ষেপটি বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদনের পথ সুগম করবে। বিজিএমইএ সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ সমর্থন এবং সহযোগিতা প্রদান, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পখাতে সহযোগিতা প্রদান আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের টেক্সটাইল, পোশাক, ফ্যাশন ও ব্যবসায় সক্ষমতা বিকাশে ইইউকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।