কেজিতে এক দুই টাকা কমার পর কুষ্টিয়ায় আবার বেড়েছে চালের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পূজার কারণে ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ কারণে চালের বাজারে দাম বেড়ে গেছে।

কয়েক দফায় দাম বাড়ার পর প্রায় দুই সপ্তাহ কুষ্টিয়ায় চালের দাম ছিল কমতির দিকে। ভারত থেকে চাল আমদানির ফলে গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে কুষ্টিয়ার খুচরা এবং পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা কমে যায়। বেশ কয়েক মাস ধরে অব্যাহতভাবে চালের দাম বাড়ার পর দাম কিছুটা কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা দিয়েছিল। এর মধ্যেই আবার বেড়ে গেল চালের দাম।

সরেজমিন কুষ্টিয়া শহরের পৌর বাজার এবং বড় বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সব ধরনের চাল কেজিপ্রতি দুই টাকা বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে যে মিনিকেট চাল ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বর্তমানে দুই টাকা বেড়ে ৫৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাজললতা ৫০ টাকার পরিবর্তে ৫২ টাকা, বাসমতি ৬৬ টাকা পরিবর্তে ৬৮ টাকা এবং মোটা চাল ৪০ টাকার পরিবর্তে ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) সব ধরনের চালের দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।

এদিকে চালের দামের পাশাপাশি বাজারে ধানের দামও বেড়েছে। গত সপ্তাহে কুষ্টিয়ার বাজারে মিনিকেট (সরু ধান) ছিল ১৩০০ টাকা মণ। এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৪০ টাকা মণ।

বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, পূজার কারণে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বাজারে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। যে কারণে কুষ্টিয়াসহ সারাদেশের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রান্তিক কৃষকদের হাতে কোনো ধান নেই। ধান চলে গেছে ফড়িয়া এবং বড় বড় ব্যবসায়ীদের হাতে। তারা সিন্ডিকেট করে ধানের বাজার ধরে রেখেছেন। যে কারণে বাজারে ধানের দাম কমছে না।