পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগের বিধান বাতিল এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইন, ২০২১ পৌরসভার মেয়রদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছেন পৌরসভার মেয়রদের একটি অংশ। গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ পৌরসভা সমিতি-ম্যাব’-এর ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মেয়রের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে নির্বাচন না হলে পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইন, ২০২১ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন পৌরসভার মেয়রদের একটি অংশ। তারা পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগের বিধান বাতিল করার দাবি করে। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এবং মাদারিপুর পৌরসভার মেয়র মো. খালিদ হোসেন পৌরসভায় প্রশাসক বাসানোর বিধান বাতিল করার দাবি জানিয়ে বলেন, পৌরসভায় প্রশাসক বসানোর বিধান করার মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে বরিশালের মতো প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের মুখোমুখি করার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, পৌরসভার মেয়রদের সঙ্গে আলোচনা করে আইন তৈরি করতে হবে। তাছাড়া প্রশাসক নিয়োগ প্রচলিত আইন ও আদালতের নির্দেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, তাই এ বিষয়ে সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কেউ মামলা করে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকুক আমরা তার পক্ষে নই এবং পৌরসভার কোনো মেয়র মামলা করেনি। আমরা চাই নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হোক। এজন্য সংসদে একটি আইন পাস করে নিলেই হয়। এর জন্য প্রশাসক বসানোর কোনো প্রয়োজন নেই। এর আগে গত ৪ অক্টোবর একসঙ্গে এক বছর সময় বেতন-ভাতা বকেয়া রাখলে পৌরসভা বাতিলের বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইন, ২০২১ খসড়ার চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনে মেয়রের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে নির্বাচন না হলে পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সংশোধিত আইন অনুযায়ী পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ দেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। পৌরসভার ‘সচিব’ এর নাম পরিবর্তন করে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা’ করা হচ্ছে। ২০০৯ সালের পৌরসভা আইনে একটা অপূর্ণতা ছিল। এই জিনিসটি কেউ খেয়াল করেনি। নির্বাচিত পৌরসভার সময়সীমা ছিল পাঁচ বছর। কিন্তু সেখানে একটা বিধান ছিল যে পাঁচ বছর হলেও পরবর্তী পৌরসভার নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ওই মেয়র কন্টিনিউ করবে।
এতে দেখা গেল অনেক জায়গাতে পাঁচ বছরের পরে বিভিন্ন ইস্যুতে মেয়ররা মামলা-মোকাদ্দমা করে ১২ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত মেয়র থেকে যাচ্ছেন। কিন্তু যেহেতু আইনে কোনো কিছু ক্লিয়ার ছিল না সেজন্য কিছু করা যাচ্ছিল না। দোহারে মনে হয় ১৫ বছর ধরে মেয়র আছেন। কিছুই করা যাচ্ছিল না। হাইকোর্ট থেকেও তাদের পক্ষে রায় ছিল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে মন্ত্রিসভায় এটা নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এর আগে একাধিকবার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আজকে এই আইনের মধ্যে ওই বিধানটা সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছর যখন শেষ হয়ে যাবে তখন মেয়র ও ওনার কাউন্সিল বাতিল হয়ে যাবে। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সেক্ষেত্রে (বাতিলের পর) প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোনো কর্মকর্তা বা সরকার যদি কোনো ব্যক্তিকে যোগ্য মনে করেন, ছয় মাসের জন্য প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবেন।
ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এই বিধানটা পৌরসভা আইনে ছিল না।
তিনি বলেন, এখন পরিষ্কার হয়ে গেল পৌরসভায় পাঁচ বছরের বেশি কেউ (মেয়র ও কাউন্সিলর) থাকতে পারবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।