পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘদিন ধরে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের সিলেটে কমিটি নেই। দলের নেতাকর্মীরা চাচ্ছে কমিটি ও নতুন নেতৃত্ব। কিন্তু কমিটির উপর কর্তৃত্ব বজায়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে চলছে স্নায়ুযুদ্ধ। নিজ নিজ বলয়ের অনুসারীদের কমিটিদের স্থান দিতে মূলত চলছে এ যুদ্ধ। এরমধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ চাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা। কেউ চাচ্ছেন স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ, কেউবা চাচ্ছেন নিজ ক্ষমতার একচ্ছত্র বাহাদুরী। তাদের এহেন অশুভ প্রতিযোগীতায় ছাত্রলীগ কমিটি নিয়ে হতাশা বাড়ছে পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে এমন রয়েছেন, যারা কমিটিতে স্থান দিতে চাচ্ছেন নিজের পছন্দের লোকদের। সেই লোকদের ঘন ঘন ঢাকায় ডেকে নিচ্ছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। অনেক সূত্র বলছে, সরাসরি অনেকে টাকার বস্তা নিয়েও যাচ্ছেন কেন্দ্রে। সেই সুর স্থানীয়ভাবে মুখে মুখে। এরকম অবস্থায় কমিটি ঘোষণা হচ্ছে হচ্ছে বলে কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে কর্মীসভার পরে প্রায় ৭ মাস অতিবাহিত হলেও আলোর মুখ দেখেনি জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি। সবকিছু মিলিয়ে কমিটি নিয়ে চরম স্নায়ুযুদ্ধ চলছে সিলেট ছাত্রলীগের রাজনীতিতে।
এছাড়া পদ পদবী থেকে প্রতিশ্রুতিশীল অনেককে মাইনাস করতে চালানো হচ্ছে নানামুখী কৌশল। ব্যক্তি চরিত্র হনন, প্রোপাগান্ডাসহ কোন কিছুই বাদ রাখছেন না তারা। এরমধ্যে লন্ডনসহ বিভিন্ন মুখী লবিং চলছে কমিটিতে পছন্দের নেতৃত্ব নিয়ে আসতে। গত কয়েকদিন ধরে সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু হয়। এই দুই ইউনিটের কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একাধিকবার বৈঠক করেছেন বলেও জানা গেছে। নেতাকর্মীদের ধারণা ছিল দুয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণা হতে পারে। এমন সময়ে হঠাৎ করে গত শনিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের একটি কমিটির প্রেস বিজ্ঞপ্তি। এতে সভাপতি হিসেবে শাহ আলম শাওন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিল সাদেকুর রহমান চৌধুরীর নাম। এর কিছুক্ষণ পরেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে আরেকটি কমিটির প্রেস বিজ্ঞপ্তি। এতে কিশোয়ার জাহান সৌরভ সভাপতি এবং নাঈম আহমদের নাম ছিল সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। এছাড়া দুটি কমিটিতেই সহ সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কয়েকজনের নাম ছিল। তবে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সূত্র জানিয়েছে এখনো সিলেট ছাত্রলীগের কোন ইউনিটের কমিটি গঠন করা হয়নি। কমিটি গঠন করা হলে ছাত্রলীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে প্রকাশ করা হবে।
অপরদিকে, সরকার ক্ষমতায় থাকলেও সিলেটে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই গত ৪ বছর। সম্প্রতি ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, গ্রুপিং দলের রাজনীতিকে দুর্বল করে। এখানে সবাই এক দলের। এ কারণে গ্রুপিং রাজনীতি না করার আহ্বান জানান তারা। এর আগে সিলেটের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের সমাবেশেও তারা একই কথা বলেন। তবে সিলেট ছাত্রলীগে কে শোনে কার কথা। গ্রুপ ছাড়া কল্পনা করা যায় না সিলেট ছাত্রলীগকে। সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকায় ফিরে যাওয়ার পরপরই শুরু হয়েছে পদ বাগিয়ে নিতে লবিং। এতে সক্রিয় হয়েছেন ৬ গ্রুপের নিয়ন্ত্রকরা। সিলেট ছাত্রলীগের মধ্যে টিলাগড়ে রয়েছে দুটি, দর্শনদেউরীতে একটি, তেলিহাওরে একটি ও সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের এক নেতার ছত্রছায়ায় আরো একটি গ্রুপ গড়ে উঠেছে। এছাড়া বিগত কমিটিতে শীর্ষ পদ পাওয়া একটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে মহানগর জুড়ে।
তবে দল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, মহানগর রাজনীতির নিয়ন্ত্রকদের কাছে থেকে মহানগর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব কেড়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠছে একাধিক প্রভাবশালী গ্রুপ। কারণ তাদের নিজস্ব ক্ষমতার আকার প্রকার বিশাল করতেই মাঠে নেমেছেন তারা। এর মধ্যে দিয়ে তাদের কর্তৃত্ব-নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী হলেও মুখ থুবড়ে পড়বে ছাত্রলীগ রাজনীতি। কমিটিতে স্থানীয় নিবেদিত নেতাদের মতামত উপেক্ষিত হলে, কমিটি নিয়ে ঘটতে পারে ক্ষোভের বিস্ফোরণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।