পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বিপরীতে কমেছে মৃত্যু। চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন ২২ জন। দক্ষিণাঞ্চলে গত ৪৮ ঘন্টায় করোনা পরিস্থিতির আরো কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এসময়ে কোন মৃত্যু ছিল না, আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ জন। এছাড়া যশোরে পর পর তিন দিন করোনায় মৃত্যু শুন্য ও শনাক্ত হয়েছেন একজন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায় : গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের সাতটি ল্যাবে এক হাজার ১৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সংক্রমণ শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯১ শতাংশ। আগের দিন শনিবার এ হার ছিল ১ দশমিক ১৫ শতাংশ। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ১৮ জন এবং বাকি চার জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে চট্টগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ দুই হাজার ১৪ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন এক হাজার ৩১১জন।
বরিশাল ব্যুরো জানায় : গত জুলাই মাসে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় শনাক্তের হার ছিল ৫০ থেকে ৭৪ ভাগ পর্যন্ত। তবে গত বছর ১৮ মার্চ থেকে ১০ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে গড় শনাক্তের হার ২০.৭৮%। যা দু দিন আগের তুলনায় দশমিক ৪ ভাগ কম।
গত ২৪ ঘন্টায় ২১৩ জনের নমুনা পরিক্ষায় বরিশালে ৩ জন ও পটুয়াখালীতে ১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। অন্য ৪টি জেলায় কোন রোগী শনাক্ত হয়নি।
আর স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবে গত ৪৮ ঘন্টায় আরো ৭৮ জনসহ সর্বমোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪২ হাজার ৮৩১ জন। দক্ষিণাঞ্চলে এখন সুস্থতার গড় হার ৯৫.১০%।
যশোর ব্যুরো জানায় : যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ৭২ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা যাননি। রবিবার (১০ অক্টোবর) যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার- আরএমও জনাব ডা: আরিফ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৩৩ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ পর্যন্ত যশোরে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪৯৮ জন।
যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় জেনারেল হাসপাতালে ৭ জন নতুন করে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। নতুন রোগী মধ্যে এক জন রেড জোনে ভর্তি হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়েছে ১২ জন। এদিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেড জোনে ১৫ জন এবং ইয়োলো জোনে ১৮ জন (পুরুষ ৯ জন এবং মহিলা ৯ জন) ভর্তি রয়েছে। যার মধ্যে আই সি ইউতে ৫ জন (পুরুষ ১ জন এবং মহিলা ৪ জন) এবং এইচ ডি ইউতে ৩ জন মহিলা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় ৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে এক জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪৯ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত ২১ হাজার ৬৭০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৮৪৯ জন। তবে ৭ দিনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে আক্রান্ত ও মৃত্যু অনেক কম।
যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে এক জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি যশোর মনিরামপুর উপজেলার বাসিন্দা।
খুলনা ব্যুরো জানায় : করোনা সংক্রমণ কমে আসায় খুলনায় আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তিসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রোববার দুপুর থেকে ইউনিটটি বন্ধ করা হয়। এর আগে শনিবার বিকেলে শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, খুলনায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে এসেছে। গত ৯ দিনে করোনায় কেউ মারা যাননি। সংক্রমন ২ থেকে ২ শতাংশে নেমে এসেছে। খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে এ মুহুর্তে ৪১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। জেলায় এপর্যন্ত ১১ লাখ সাত হাজার সাতশত ৪৬ জন করোনা ভ্যাকসিনের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার জন টিকার জন্য অপেক্ষমান আছেন। জেলায় টিকার কোনো সংকট নেই এবং টিকা দেওয়ার গতি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে গত মাসে খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, খুলনায় করোনা রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় গত ৩ জুলাই এই হাসপাতালে ৪৫ শয্যার করোনা ইউনিট চালু করা হয়েছিল। পরে রোগীর চাপ কমে যাওয়ায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর শয্যা সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। তখন শুধু ১০টি আইসিইউ শয্যা চালু রাখা হয়েছিল। কিন্তু গত ২৬ সেপ্টেম্বরের পর থেকে আর কোনো রোগী ভর্তি হয়নি। আইসিইউ ওয়ার্ডটি ভাইরাস মুক্ত করার পর দ্রুত নতুন করে চালু করা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান : করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১২ বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন- সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা গ্রামের ফারহাদ দালালের ছেলে আব্দুল জলিল (৭০), তালা উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের আকবর আলীর স্ত্রী হালিমা খাতুন (৪৫ ) ও দেবহাটা উপজেলার ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মুকুল গাজীর ছেলে মাস্টার রিয়াদ (১২)। এই তিনজনের মৃত্যু নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেলে গত ২০ দিনে ৩৫ জন করোনা উপসর্গে মারা গেলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।