Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোর মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের দাবি

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ৬:০৪ পিএম

 যশোর মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এক দশকেও বাস্তবায়ন না হওয়া যশোরে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। দাবি বাস্তবায়নে একইসাথে যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে রবিবার (১০ অক্টোবর ) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একত্মতা প্রকাশ করেন।
কালেক্টরেট চত্বরে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে সূচনা বক্তব্য দেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান ভিটু। দাবি বাস্তবায়নে একত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবল কাবির জাহিদ, জনউদ্যোাগ যশোরের আহ্বায়ক নাজির আহমেদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস, সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মজনু, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, আইডিইবি যশোরের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, জয়তী সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক অর্চনা বিশ^াস ইভা, আইইডি যশোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিথিকা সরকার, এসএসসি- ৯১ এর সমন্বয়ক রাশেদ চৌধুরী প্রমুখ।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ২০১১ সালে যশোর মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হলেও দীর্ঘ ১০ বছরেও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু করা হয়নি। যদিও যশোরের পরে স্থাপিত পাশের জেলা সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ অবস্থায় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের যথাযথ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের সাধারণ মানুষ অধিকতর চিকিৎসাসেবা লাভে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কারণে অবিলম্বে যশোরবাসীর প্রাণের দাবি যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করেন নেতৃবৃন্দ। স্বারকলিপিতে বলা হয়েছে- ২০১১ সালে যশোর মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কলেজটির সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। পরবর্তীতে শহরের শংকরপুর এলাকায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজ স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে কলেজে চার শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। তবে দীর্ঘ ১০ বছরেও এখানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু করা হয়নি। যদিও যশোরের পরে স্থাপিত পাশের জেলা সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে, মেডিকেল কলেজের সাথে হাসপাতাল না থাকলে সেই মেডিকেল কলেজ পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ শিক্ষার্থীদের তত্ত্বিয় বিষয়ের পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষাও অনিবার্য। আর এই শিক্ষার জন্য মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের কলেজ থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যেতে হয়। কিন্তু এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষেত্রেই বিড়ম্বনায় পড়েন। সাধারণ মানুষও বঞ্চিত হন মেডিকেল কলেজের মতো পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা থেকে। এজন্য যশোরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হলে শিক্ষার্থীদের উপকারের পাশাপাশি বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের সাধারণ মানুষ বর্তমানের চেয়ে অধিকতর চিকিৎসাসেবা লাভ করত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ