Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ড্রেন নির্মাণ করতে গিয়ে পল্লীবিদ্যুতের আটটি খুঁটি ভেঙে পড়েছে

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৩৫ এএম

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাসে মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকায় পানি নিস্কাশনের ড্রেন নির্মাণের জন্য খনন করতে গিয়ে পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ কেভির আটটি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এতে হতাহতের কোন ঘটনা না ঘটলেও রাত থেকে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া মহাসড়কের ওই লাইনে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। শনিবার রাত একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় মহাসড়কের ছয়লেনে উন্নতিকরণের কাজ শেষ হলে বংশাই রোডে পানি নিস্কাশনের রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে একটু বৃষ্টি হলেই বংশাই রোডে হাটুপানি জমে থাকে। ফলে উপজেলার উত্তরাঞ্চলের হাজারো মানুষকে সদরে আসতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাদের দুর্ভোগ লাঘবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক প্রকল্পের অধীনে বংশাই রোডের পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। গত শুক্রবার রোডের দক্ষিনাংশ থেকে পুষ্টকামুরী মাঝিপাড়া হয়ে বারোখালী নদী পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণের মাটি কাটার কাজ শুরু করা হয়। ঠিকাদার আব্দুল মোনায়েম কোম্পানীর কর্মীরা ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খননের কাজ শুরু করেন। ড্রেন সংলগ্ন সারি সারি পল্লীবিদ্যুতের খুঁটির গুড়া থেকে গভীর করে মাটি কাটে নেয়া হয়। খুঁটিগুলো একপাশ থেকে গভীর করে মাটি কেটে নেয়ায় খুঁটিগুলো ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়ে। শনিবার রাত একটার দিকে একযোগে আটটি খুুঁটি হেলে ভেঙে পড়ে। তবে গভীর রাতে এই খুঁটিগুলো ভেঙে পড়ায় এবং খুটিগুলো ভেঙে এক অংশ মহাসড়কের ওভার ব্রিজের উপর পড়ায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে রাত থেকে বিদ্যুত বিচ্ছুন্ন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া মহাসড়কের ওই লাইনে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা পল্লী বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেন।
বংশাই রোডের বাসিন্দা মাসুদ মিয়া বলেন, রাত একটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়ে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে পড়ে। বাসার বাইরে বের হয়ে দেখি অনেকগুলো বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে আছে। আল্লাহ সহায় তবে কেউ হতাহত হয়নি। তিনি বলেন, শুক্র ও শনিবার ড্রেন নির্মাণের জন্য পল্লীবিদ্যুতের খুঁটিগুলোর গুড়া থেকে মাটি কেটে নেয়া হয়। তখন ভেকু অপারেটর কোম্পানীর ফোরম্যানকে বলেছিলেন এভাবে একপাশ থেকে মাটি কেটে নিলে খুঁটি ভেঙে পড়তে পারে। কিন্ত ফোরম্যান তাকে ধমক দিয়ে বলেন আমি যেভাবে বলি সেভাবে কাজ করো। আব্দুল মোনায়েম কোম্পানীর ভেকু অপারেটর শহিদুলও স্বীকার করে বলেন খুঁটির গুড়া থেকে মাটিকেটে নেয়ায় খুঁটিগুলো ভেঙে পড়েছে।
বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের শাফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদ মিয়া বলেন, যেভাবে খুঁটির গুড়া থেকে মাটি কেটে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এটা যে কেউ দেখলে বুঝতে পারবে খুঁটিগুলো ঝুঁকিতে পড়েছে। কিন্ত ইঞ্জিনিয়ার বা ফোরম্যান কে বুঝলেন না তা আমাদের মাথায় ধরছে না। তারা এই খামখেয়ালির জন্য কোম্পানীর ইঞ্জিনিয়ার ও ফোরম্যানের দক্ষতার অভাব বলে অভিযোগ করেন।
টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার কারিগরি আবু সাইম বলেন, মহাড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণ কাজের মাটি কেটে নেয়ায় খুঁটিগুলো ভেঙে পড়েছে। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে পড়ে। আমরা দ্রুত সময়ে বিকল্পভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার ব্যবস্থা করছি বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোানয়েম কোম্পানীর কারো সঙ্গে একাধিকার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। ভেঙে ফেলা খুঁটি সরিয়ে ফেলতে ওই এলাকায় কোম্পানীর বড় একটি হাইডোলিক ক্রেন নিয়ে আসা হয়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ