Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বরিশালে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে ইউএনওর স্পিডবোট ডুবিয়ে দেয়ার চেষ্টা

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০৯ পিএম

বরিশালের মেহেদিগঞ্জের দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন গজারিয়া নদীতে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে নামায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্পিডবোট ডুবিয়ে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে কয়েকজন দূবৃত্ত। শক্তিশালী ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্পিডবোটকে সজোরে ধাক্কা দেয় দূবৃত্তরা। এতে ইউএনও’র স্পিডবোটে থাকা দুই আনসার সদস্য নদীতে পড়ে যায়। তাদেরকে উদ্ধার করা হলেও এক আনসার সদস্যের আগ্নেয়াস্ত্র নদীতে তলিয়ে গেছে।
শুক্রবার সকাল সোয়া ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত আনসার সদস্য মো. ইব্রাহিম ও মো. তুহিনকে চিকৎসা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে বরিশাল রিভার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ডুবুরিরা গজারিয়া নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে।
মেহেদিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন মাসুদ সাংবাদিকদের জানান, মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার লক্ষ্যে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে তিনি একটি স্পিডবোট নিয়ে মেঘনার শাখা নদীতে অভিযানে বের হন। তার সঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, তিন জন আনসার সদস্য সহ মোট আট জন ছিলেন। বামনির চর থেকে ফেরার পথে দড়িরচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের সিকদার বাড়ি ঘাট সংলগ্ন গজারিয়া নদীতে বেশ কয়েকটি মাছ ধরার শক্তিশালী ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দেখে তারা স্পিডবোটের গতি কমিয়ে দেন। এ সময় হঠাৎ একটি মাছ ধরার শক্তিশালী ইঞ্জিনচালিত ট্রলার তাদের স্পিডবোটে সজোরে ধাক্কা দেয়। ওই ট্রলারে ৪-৫ জন জেলে ছিল। এতে আনসার সদস্য মো. ইব্রাহিম ও মো. তুহিন ছিটকে নদীতে পড়ে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করা হলেও মো. তুহিনের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রটি নদীতে তলিয়ে গেছে।
স্পিডবোটটি নদীর তীরে নিয়ে মুঠোফোনে থানা ও নৌ-পুলিশের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়। পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে বরিশালে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। আহত দুই আনসার সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের খবর পেয়ে করা বৃহস্পতিবার রাতে বামনিরচর, চুনারচর, দড়িরচর খাজুরিয়া সিকদার বাড়ি ঘাট সংলগ্ন নদীতে অভিযান চালান হয়। ইলিশ শিকারের অপরাধে ৭ জেলেকে আটক করে পুলিশ। ধারনা করা হচ্ছে তাদের সহযোগীরাই স্পিডবোটে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এতে ইউএনও সামান্য আহত হওয়া ছাড়াও সরকারী স্পিডবোটটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ঘাতক ট্রলারে থাকা ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ