Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বগুড়ায় স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির মুষ্টাঘাতে ৩টি দাঁত হারালেন প্রধান শিক্ষক

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০২১, ৬:০৭ পিএম

বগুড়ার নন্দীগ্রামে কোশাস হাই স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামিম হোসেনের মুষ্টাঘাতে তিনটি দাঁত হারালেন ভর তেঁতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম দুদু (৫৫)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পন্ডিত পুকুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটনে সাথে ভর তেঁতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুর হাতাহাতি হয়। এর এক পর্যায়ে শামিম হোসেন প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলামের মুখে মুষ্টাঘাত করলে তার তিনটি দাঁত পড়ে যায়। শুক্রবার ৮ অক্টোবর আহত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুর স্ত্রী ও একই উপজেলার কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মঞ্জুয়ারা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে স্কুল পরিচালনা কমিটির মিটিং হয়। মিটিং-এ কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটন ৪ জন শিক্ষক নিয়োগের বিষয় নিয়ে উত্তেজিত হয়ে নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলেন।
তিনি মিটিং না করেই বিদ্যালয় থেকে চলে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় আমার স্বামী ভর তেঁতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম দুদু পন্ডিত পুকুর বাজারে যান। ওই বাজারে কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটনের কাপড়ের দোকান আছে।
আমার স্বামী তার দোকানে গিয়ে নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলার কারন জানতে চায়। এনিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায় শামিম হোসেন লিটন আমার স্বামীকে মারধর করে এবং মুখে মুষ্টাঘাত করলে তার সামনের তিনটি দাঁত পড়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে শুক্রবার উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটন বলেন, সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুর সাথে আমার হাতাহাতি হয়েছে। তিনি দোকান থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার সময় কলাপসিবল গেটে ধাক্কা লেগে দাঁত পড়ে যায়।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ