পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক কোষি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষাবাদ বাড়াতে পারলে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি অসময়ে টাটকা পেঁয়াজ এবং পেঁয়াজ ও পেঁয়াজ পাতার (ফুলকা ) স্বাদ পাবেন ক্রেতারা। সেই সঙ্গে উৎপাদক চাষিরাও পাবেন নগদ টাকা।
কিন্তুএকযুগ আগে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের ছাড়পত্র পাওয়ার পরও কেন গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজের চাষাবাদ বাড়ছে না জানতে চাইলে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উদ্ভাবন প্রক্রিয়ায় জড়িত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্যানতত্ত্ব) নুর আলম চৌধুরী বলেন , ২০০১ সালে এর গবেষণা পর্যায় শুরু হয় । ২০১০ সালে বারি -২,৩ ও ৫ নামের তিনটি জাতের ছাড়পত্রের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে চাষাবাদ শুরু হয়েছে ।
একই সঙ্গে বারি-১ নামে কন্দবিহীন পাতা পেঁয়াজেরও জাত উদ্ভাবনও হয়েছে। এই পাতা পেঁয়াজের স্বাদ ও গন্ধ হুবহু পেঁয়াজেরই মত। এই জাতগুলো ব্যাপকভাবে চাষাবাদ শুরু হলে দেশে পেঁয়াজ সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে বলে আশাবাদী তিনি।
বিএডিসি ও কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে পেঁয়াজের উপযোগী এলাকা কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর এবং পাবনা জেলায় সীমিত আকারে শুরু হয়েছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের পাইলট প্রকল্প। সেই সঙ্গে ছাদ কৃষিতেও এককোষি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ এবং কন্দবিহিন পাতা পেঁয়াজ চাষকে জনপ্রিয় করারও চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য দেশে বর্তমানে প্রতিবছর ২২ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে। উৎপাদিত পেঁয়াজের একটা অংশ নষ্ট হয় পঁচে। ফলে প্রতিবছর ১০/১২ লাখ টন পেঁয়াজ ভারত, মিয়ানমার, চীন, মিশর, টার্কি থেকে আমদানি করতে হয় বলে বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে ।
এদিকে চলতি সপ্তাহে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা হারে বাড়লো কেন জানতে চাইলে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম আমদানিকারক আব্দুল গফুর জানান, পেঁয়াজের দাম ভারতেও বেড়েছে। ফলে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে। তিনি ভারতীয় রফতানিকারকদের কাছ থেকে ধারণা পেয়েছেন ২/৪ দিনের মধ্যেই সেখানে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে। কমবে এলসি খরচ। ফলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কমে যাবে দেশে পেঁয়াজের দাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।