Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগ্রহ বাড়ছে লটকন চাষে গড়ে উঠেছে ২০ বাগান

এস কে সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার গারো পাহাড়ি অঞ্চলে লটকন চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। ইতোমধ্যইে গড়ে উঠেছে ২০টি লটকন বাগান। বাড়তি খরচ না থাকায় এবং অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় লটকন চাষ বাড়ছে দিনকে দিন। বাণিজ্যিকভাবে হচ্ছ ‘লটকন চাষ’। বাড়তি খরচ না থাকায় অনকেইে লাভের মূখ দেখছেন। আশানুরুপ ফলন হওয়ায় চাষিদের আগ্রহ যেমন বাড়ছে তেমনই দ্রুত প্রসার ঘটছে লটকন চাষের। গারো পাহাড়ের ঝিনাইগাতী উপজলোর নলকুড়া ইউনয়িনরে ভারুয়া গ্রামের লটকন চাষি ইউপি সদস্য মো. হামিদুল্লাহ ১৩/১৪ বছর আগে তার বাগানে ১২০টি লটকন চারা রোপন করেন। ৭/৮ বছর পরই ৩৫টি গাছে ফল দিতে শুরু করেছে। বছরে ৬০-৭০ হাজার টাকার লটকন বিক্রি করছেন হামিদুল্লাহ। লটকন চাষে লাভের মূখ দেখছনে তিনি। ওই গ্রামেরই অপর চাষি আলাউদ্দিন ১০-১১ বছর আগে লটকনের বাগান করে ২০০ গাছ রোপন করে ৫/৬ বছর ধরে ৬০-৭০ গাছে লটকন ধরেছে। প্রতি বছর তার বাগান থেকে ৬০/৭০ হাজার টাকার লটকন বিক্রি করছেন তিনি। লটকন চাষে কোন বাড়তি খরচ না থাকায় লাভের মুখ দেখছন তিনিও। অপর দিকে গারো পাহাড়রে ঐতিহ্যবাহী লটকন ফল এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না। এই লটকন ফল অত্যন্ত পুুষ্টকর একটি পাহাড়ি ফল। অম্লমধুর স্বাদের অত্যন্ত মুখরোচক ফল হিসেবে সবার কাছইে অত্যন্ত সমাদৃত। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় গারো পাহাড়ে ইতোপূর্বে প্রচুর পরমিাণে লটকন গাছ দেখা যেতো। কিন্তুু কালক্রমে ব্যাপক বৃক্ষ নিধনের ফলে লটকন গাছও রেহাই পায়নি বনখোকোদের হাত থেকে। ফলে হারিয়ে গেছে ঐতহ্যিবাহী গারো পাহাড় হতে লটকন ফলদ গাছ। সেজন্যই গারো পাহাড়ে লটকন ফল ও আর এখন বলতে গেলে চোখেই পড়ে না। জানা যায়, লটকন গাছে শীতের শেষে ফুল আসে এবং জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেবর মাসে লটকন পাকে। এ সব লটকন গাছরে চাষ ও করা যায়। তার জলন্ত প্রমাণ উল্লিখিত ২০টি লটকন বাগান। যে কোন ফলের চেয়ে অনেক লাভজনক লটকন বাগান। কারণ হিসেবে প্রবীণ ডা. আব্দুল বারী, আলহাজ শরিফ উদ্দিন সরকার, আলহাজ রেজাউর রহমান মাস্টার জানান, দেশিয় যে কোন ফলের চেয়ে লটকনের ফলন এবং র্বতমান বাজার মূল্য অনকে বেশি। তাই এই ফল চাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব। তাছাড়া এই লটকন চাষে যে কোন ধরণের জমিতে আবাদ করে ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির জানান, উপজলোর কাংশা এবং নলকুড়া ইউনিয়নে ২০ টি লটকন বাগান গড়ে উঠেছে। লটকন চাষিদের কৃষি বিভাগ নিয়মিত প্রশক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে এ পর্যায়ে এনেছেন। পহাড়ি পুষ্টকর ফল হিসিবে কৃষি বিভাগ লটকন চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছে। আর তাই দিনকে দিন বাড়ছে লটকন চাষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ