Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে দিনে চলবে ফেরি, রাতে বন্ধ

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০২১, ১:৩৩ পিএম

দীর্ঘ ৪৭ দিন ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকার পর গতকাল পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচল সফল হওয়ায় মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌরুটে ফের ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
সোমবার এই রুটে পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচল পর্যবেক্ষণ করা হয়। আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) থেকে দিনের বেলায় এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে রাতের বেলায় বন্ধ থাকবে ফেরি চলাচল।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডাব্লিউটিসি) পরিচালক (বাণিজ্য) আশিকুজ্জামান জানান, সোমবার ফেরি কুঞ্জলতা নিয়ে বিআইডাব্লিউটিসি ও বিআইডাব্লিটিএর একটি পরিদর্শক দল শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যায়। পদ্মায় স্রোত কম থাকায় ফেরিটি সফলভাবে বাংলাবাজার ঘাটে পৌঁছে। আবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি ক্যামেলিয়া শিমুলিয়া ঘাটে আসে।
পরীক্ষামূলক এই ফেরি চলাচল পর্যবেক্ষণ করে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিয়মিতভাবে ফেরি চলাচল করবে। তবে রাতের বেলায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। দিনে ফেরি চললেও পারাপার করা হবে না ভারী বা পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস। শুধু ছোট ছোট গাড়ি ও অ্যাম্বুল্যান্সসহ জরুরি পরিসেবার গাড়ি পারাপার করা হবে। শিমুলিয়া থেকে ফেরিগুলো বাংলাবাজার যাবে পদ্মা সেতুর ১৪-১৫ নম্বর খুঁটির মধ্য দিয়ে। আর বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া আসার সময় ১৯-২০ নম্বর খুিঁটর মধ্য দিয়ে আসবে।
রাতে ফেরি বন্ধ রাখার কারণ সম্পর্কে আশিকুজ্জামান বলেন, পদ্মায় এখনো স্রোত সেভাবে কমেনি। ফলে রাতে ফেরি চালানো ঝুঁকি মনে হচ্ছে। আশা করা যায়, সাত থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই রুটে পুরোপুরি ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এতে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দুর্ভোগ অনেকটা কমে আসবে।
প্রসঙ্গত: পদ্মা সেতুর পিলারে বার বার ধাক্কার ঘটনায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে গত ১৮ আগস্ট থেকে ফেরি চলাচল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল বিআইডব্লিউটিসি। এ রুটে ফেরি বন্ধ থাকায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের রাজধানী ঢাকা সাথে যোগাযোগে চরম দুর্ভোগ হচ্ছিল।
এদিকে পিলারে ধাক্কা লাগা এড়াতে বাংলাবাজার ঘাটের পরিবর্তে শরিয়তপুরের মাঝিরকান্দি ঘাট স্থাপন করে শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুট সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু নাব্য সংকটের কারণে এ রুটটি সচল করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আবারও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট সচল করা হলো।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ