করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এটা এখন ১৮ জনে নেমে এসেছে। জেলা-উপজেলায়ও করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও যশোরে আবার মৃত্যু বড়েছে। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার খবরে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষার কারণে অনেকেই নিজের অজান্তে সংক্রমিত হচ্ছেন। আমাদের সংবাদদাতাদের প্রতিবেদন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, একদিন পর ফের মৃত্যুহীন দিন দেখল চট্টগ্রাম। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কোন মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে এক হাজার ৬৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সংক্রমণ শনাক্তের হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মহানগরীর বাসিন্দা ২১ জন এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলার চার জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ৮৫০ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন এক হাজার ৩০৪ জন।
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনের মধ্যে এক জন রেড জোনে ও এক জন ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৪৩ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জন নতুন করে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে ৭ জোন রেড জোনে ও ১২ জন ইয়োলো জোনে ভর্তি হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়েছে ১৩ জন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল করোনা ইউনিটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজন ও উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জন করোনা শনাক্ত হন। অন্যদিকে মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর মেশিনে ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হন পাঁচজন। পরীক্ষা বিবেচনায় রাজশাহীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। রামেকে নতুন ভর্তি হয়েছেন আটজন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন। রামেকের করোনা ইউনিটে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৫ জন এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তি রয়েছেন ৭২ জন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, করোনার হটস্পট বলে পরিচিত খুলনা জেলায় গত ৫ দিনে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর খুলনায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল। খুলনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষ বিবেচনায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৪৩। এ পর্যন্ত খুলনা জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৮৭৯ জন। মারা গেছেন ৭৬৬ জন। করোনা হাসপাতালগুলোও প্রায় রোগী শুন্য।
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১৭ জন। এই নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ২৬ হাজার ২৩৮ জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩২৬ জন।